(বাঁ দিকে) পুলিশের উপর হামলাকারী সাজ্জাক আলম। পরে পুলিশের গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়। —ফাইল চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশের উপর হামলা এবং গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল। বাংলা-বিহার সীমান্ত এলাকা থেকে ধরা পড়েছেন হবিবুর রহমান নামের এক যুবক। গোয়ালপোখরকাণ্ডে তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত তাঁর ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
গোয়ালপোখরে পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন খুনের আসামি সাজ্জাক আলম। দু’জন পুলিশকর্মী তাঁর গুলিতে জখম হন। ঘটনার দু’দিন পরে সাজ্জাককে চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি করে মারে পুলিশ। অভিযোগ, সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। ‘এনকাউন্টারে’ তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সাজ্জাকের সহযোগী আব্দুল হোসেনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর বৃহস্পতিবার আরও এক সহযোগীকে ধরা হল।
পুলিশ সূত্রে খবর, হবিবুর বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুরের বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে বাংলা-বিহার সীমান্তে ডালখোলা থানা এলাকায় গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় হবিবুরকে। তাঁর সঙ্গে আব্দুল এবং সাজ্জাকের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ছিল। রায়গঞ্জ জেলের ভিতরেই তাঁদের বন্ধুত্ব হয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। হবিবুরই মোটরসাইকেল জোগাড় করে দিয়েছিলেন সাজ্জাকদের। এমনকি, আগ্নেয়াস্ত্র কিনতেও তিনি সাহায্য করেছিলেন।
বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাককে আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে জেলে ফেরানোর সময়ে আচমকা পিস্তল দিয়ে তিনি কর্তব্যরত দুই পুলিশ আধিকারিককে গুলি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। রাজ্য পুলিশের ডিজি এই ঘটনার পর বলেছিলেন, ‘‘পুলিশের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। একটা গুলি চালালে আমরা পাল্টা চারটে গুলি চালাব।’’ তার পরেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাজ্জাক। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লেগেছিল। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়েছে।