—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শেষ পর্যন্ত ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরেরা পিছু হটলেন। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করলেন তাঁরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বৈঠকে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরেরা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহারের পত্রে স্বাক্ষর করেন।
দিন কয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন ওই দলের ১১ জন কাউন্সিলর। দাঁইহাট পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জনই এই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। প্রথমে দাঁইহাট পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং পরে কাটোয়া মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়।
দাঁইহাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে সে সময় বলেন, ‘‘এই চেয়ারম্যান কাজ করতে পারছেন না। গোটা দাঁইহাটে শুধুমাত্র তিনটি ওয়ার্ডে কাজ হচ্ছে, এটা আমরা মানতে পারলাম না। আমরা কাজ করতে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। সেটাই এখন এই চেয়ারম্যানের আমলে হচ্ছে না।’’ এই নিয়ে বিপাকে পড়েন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুক্রবার বিকেলে দাঁইহাটের এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে দলের আট ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিরকে নিয়ে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বৈঠক করেন। এক ঘন্টা রুদ্ধদ্বার আলোচনা শেষে আট বিদ্রোহী কাউন্সিলর অনাস্থা পত্র প্রত্যাহারের স্বাক্ষর করেন। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, তিন কাউন্সিলর শহরে নেই। সে জন্য তাঁরা স্বাক্ষর করতে পারেনি। বৈঠক শেষে বিদ্রোহী কাউন্সিলর তথা পুরসভার বর্তমান উপপুরপ্রধান অজিত বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটে গিয়েছে। আমরা অনাস্থা তুলে নিলাম। কোনও চাপে নয়, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আমরা সমস্যা মিটিয়ে নিলাম।’’ মন্ত্রী স্বপন বলেন, ‘‘ওঁদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটে গিয়েছে।’’ জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছিল, যা মিটে গেল। চেয়ারম্যান যিনি ছিলেন তিনিই থাকবেন। আগামী দিনে দাঁইহাট পুরসভায় সব কাউন্সিলর এক সঙ্গে কাজ করবেন।’’
দাঁইহাটে গণ্ডগোল অবশ্য নতুন নয়। গত বছর জুন মাসে পুর প্রতিনিধিদের একাংশ দলেরই পুরপ্রধান প্রদীপ কুমার রায়ের অপসারণের দাবিতে ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছিলেন।