সইফ আলি খান এখন বিপন্মুক্ত, আপাতত চিকিৎসকের নজরদারিতে থাকছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খানের বাড়ি থেকে বেরোনোর
জন্য আপৎকালীন দরজা ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতী, জানাল মুম্বই পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জ়োন ৯) দীক্ষিত গেডাম জানান, এক দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা
গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে ওই আবাসনের সিঁড়িতে দেখা গিয়েছে। চুরির উদ্দেশ্যেই সে
ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এখনও ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার ভোরে ছ’টি জখম-সহ মুম্বইয়ের
লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতা সইফ আলি খানকে। জানা গিয়েছিল, মাঝরাতে
তাঁর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতী। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, চুরির
উদ্দেশ্যেই বাড়িতে ঢুকেছিল সে। ঘটনায় আগেই আটক করা হয়েছিল সইফের বাড়ির তিন সহায়ক
কর্মীকে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছিল, বুধবার রাতে নয়, বরং বহু
ক্ষণ আগেই দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল বান্দ্রা এলাকার ওই অভিজাত আবাসনে। সন্দেহ করা
হয়েছিল, কোনও পরিচারিকাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন সইফ। এ বার সেই গৃহকর্ম
সহায়িকার নাম প্রকাশ্যে আনল মুম্বই পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর বান্দ্রা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সইফ-করিনার বাড়ির সহায়িকা ইলিয়ামা ফিলিপ আলিয়াস লিমা বুধবার রাত ২টো নাগাদ প্রথম বার ওই দুষ্কৃতীকে দেখতে পান। তখনই তিনি চিৎকার করেন, নিজেকে বাঁচাতে সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করেন বলে দাবি। সে সময় ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সইফ। দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁর হাতাহাতিও হয়। তখনই সে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় অভিনেতার উপর। পুলিশের দাবি, সইফকে দু’তিনবার কোপায় দুষ্কৃতী। তার পর সে পালায়। খান পরিবারের তরফে তখনই পুলিশকে খবর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সইফের শরীরের ছ’টি আঘাত ছিল। তার মধ্য দু’টি গভীর।গৃহকর্ম সহায়িকা লিমাও আক্রান্ত হন। তাঁর ডান হাতের কব্জিতে আঘাত লেগেছে। আপাতত, লিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, লিমাকেই প্রথম আক্রমণ করেছিল দুষ্কৃতী।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ২টো নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ রক্তাক্ত সইফকে নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছন তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। দু’টি অস্ত্রোপচার করা হয় সইফের ঘাড়ে, হাতে, পিঠে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জানানো হয়, অভিনেতা এখন বিপন্মুক্ত। আপাতত চিকিৎসকের নজরদারিতে থাকছেন তিনি।