Howrah Garbage Situation

জঞ্জাল: হাওড়ার ছবি উদ্বেগের, বিপদ কড়া নাড়ছে ধাপাতেও! স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রিন ট্রাইবুনালের, তলব রিপোর্ট

পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের দাবি, ১৯৯৫ সালে পরিবেশ আদালত, হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বেলগাছিয়ার ভাগাড় নিয়ে তিনি মামলা করেছিলেন। ২০০৩ সালে সেই মামলায় বেলগাছিয়া থেকে ভাগাড় সরানোর কথা বলেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু তা এখনও সরানো হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ২২:৪০
National Green Tribunal files suo motu case over garbage situation in Howrah

হাওড়ার জঞ্জাল পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট চাইল আদালত। —ফাইল চিত্র।

হাওড়ার জঞ্জাল পরিস্থিতি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আগামী ২৩ মে-র মধ্যে হাওড়া পুরসভাকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাওড়ার বর্তমান অবস্থা এবং কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।

Advertisement

মামলায় আর এক আবেদনকারী হলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। শুক্রবারের শুনানিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। সুভাষ বলেন, ‘‘টেলিভিশনে, খবরের কাগজে হাওড়ার ছবি দেখে গ্রিন ট্রাইবুনাল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে যে বিপর্যয় হয়েছে, তা ম্যানমেড।’’

সুভাষ জানান, ১৯৯৫ সালে পরিবেশ আদালত, হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বেলগাছিয়ার ভাগাড় নিয়ে তিনি মামলা করেছিলেন। ২০০৩ সালে সেই মামলায় বেলগাছিয়া থেকে ভাগাড় সরানোর কথা বলেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু তা এখনও সরানো হয়নি। সেই কারণেই ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সুভাষ। তাঁর কথায়, ‘‘আগের মামলার জন্যই কোর্ট আমায় আবেদনকারী হতে বলেছিল। ছবি জমা দিতে বলেছিল। আজ মামলার শুনানিতে পুরসভাকে স্ট্যাটাল রিপোর্ট এবং অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে বলেছে।’’

হাওড়ার পর কলকাতার ধাপার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন সুভাষ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সাবধান না হলে ওখানেও গোটা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। ১০০ বিঘা জমি ছিল হাওড়া। তার মধ্যে ৫০ বিঘা দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে লোক বেড়েছে। জঞ্জাল বেড়েছে। জঞ্জাল ফেলার জায়গাটা ছোট হয়ে গিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ, রাজ্য সরকার তা চুপচাপ দেখেছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন