West Bengal Panchayat Election 2023

‘ভোটের বোমায়’ জখম শিশুদের নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের রিপোর্ট চাইল জাতীয় শিশু কমিশন

খ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে এই ঘটনাকে ‘গুরুতর শিশু অধিকার লঙ্ঘন’ হিসাবে চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১৪:০৭
National Commission for Protection of Child Rights seeks report from WB Government on attacks against child in Panchayat Election

বাঁদিক থেকে— রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং জাতীয় শিশু সুরভা কমিশনের প্রধান পিয়ঙ্ক কানুনগো। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে শিশুদের রক্ত ঝরার ঘটনায় উদ্বিগ্ন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুর জখম হওয়ার ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে মঙ্গলবার চিঠি পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা আইনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে রাজ্যের জবাব চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তলব করা হয়েছে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ও।

মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে কমিশন লিখেছে, “মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এলাকায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি পাঁচ জন শিশু জখম হয়েছে। তারা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’’ এই ঘটনাকে ‘গুরুতর শিশু অধিকার লঙ্ঘন’ হিসাবে চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। পাশাপাশি, আহত শিশুদের দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপের বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।

Advertisement

পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল মুর্শিদাবাদে আসতে পারে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে। যেহেতু পঞ্চায়েত ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ‘আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি’ কার্যকর হয়েছে, তাই প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ফরাক্কার ইমামনগর এলাকার একটি আমবাগানে খেলা করছিল পাঁচ শিশু। সেখানে পড়ে থাকা বলের মতো একটি বস্তুতে লাথি মারতে যায় তাদের এক জন। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয়েরা পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। এর পরে তাদের পাঠানো হয় মহকুমা হাসপাতালে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement