Mystery Death In Murshidabad

পছন্দের পুরুষকে বিয়ের এক বছর কাটেনি, রহস্যমৃত্যু তরুণীর! খুনের অভিযোগ করে থানায় মা

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ভালবেসে এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন চুমকি। তরুণীর আগে একটি বিয়ে ছিল। তাঁর দ্বিতীয় সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিবারের। তবে আপত্তি মানেননি চুমকি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:০৩
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বাড়ির অমত ছিল। কিন্তু মেয়ে মানেননি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রহস্যমৃত্যু বধূর। বাপের বাড়ির দাবি, দশ মাসের দাম্পত্যজীবনে অত্যাচারিত হয়েছেন মেয়ে। হয় তাঁকে খুন করা হয়েছে, নয়তো আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

মৃতার নাম চুমকি খাতুন। বয়স ২০ বছর। শনিবার চুমকির বাপের বাড়িতে খবর যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান বাপের বাড়ির লোকেরা। তাঁরা বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তবে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে স্বামীর খোঁজ মেলেনি। পলাতক শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রবিবার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ভালবেসে এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন চুমকি। তরুণীর আগে একটি বিয়ে ছিল। তাঁর দ্বিতীয় সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিবারের। তবে আপত্তি মানেননি চুমকি। বাড়ি ছেড়ে ভালবাসার মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। কিন্তু সেই সংসারও সুখের হয়নি। চুমকির মায়ের দাবি, তাঁদের বাড়ি থেকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব খুব বেশি না-হলেও মেয়ের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। তবে চেনাজানা লোকজনদের মাধ্যমে মেয়ের খবর রাখতেন। সেই সূত্রে জেনেছিলেন, মেয়ে ভাল নেই। শনিবার মেয়ের মৃত্যুতে তিনি আঙুল তুলেছেন জামাইয়ের দিকে। প্রৌঢ়া বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের অমতে বিয়ে করেছিল বলে ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি। ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও আমাদের সঙ্গে ওর কথাবার্তা, দেখা করার সুযোগ দেয়নি। শনিবার একটি ফোন পাই। বলা হয়, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু আমরা গিয়ে দেখি, চুমকির গলায় ফাঁসের দাগ নেই। ওকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিল।’’

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন