— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জন্মদিনের কেক আনার নাম করে বেরিয়েছিলেন যুবক। সঙ্গে নিয়েছিলেন পাঁচ বছরের সৎভাইকে। তাকে গঙ্গায় ছুড়ে ফেলে পলাতক সৎদাদা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপে। শিশুটির খোঁজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। অন্য দিকে, পলাতক যুবকের খোঁজ করছে পুলিশ।
গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া শিশুটির নাম সুব্রত বিশ্বাস। অভিযুক্ত সৎদাদার নাম সুমন দত্ত। পরিবার সূত্রের খবর, নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ কপালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয়দেব বিশ্বাস প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান সুব্রত। প্রথম পক্ষের সন্তান সুমন থাকেন পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। শনিবার নিজের জন্মদিন উপলক্ষে নবদ্বীপের বাড়িতে এসেছিলেন। সন্ধ্যায় কেক আনতে যাওয়ার নাম করে সৎভাইকে নিয়ে তিনি বাইরে যান।
নবদ্বীপের স্বরুপগঞ্জ ঘাটে নৌকায় চেপে নবদ্বীপ বরালঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ গঙ্গায় তিনি সৎভাইকে ছুড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে যায়। তাঁরা দেখেন, এক যুবক শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে লাফ দিয়ে নৌকা থেকে পাড়ে নেমে দৌড় দিলেন। যুবকের মুখে মাস্ক থাকায় কেউ তাঁর বিবরণ দিতে পারেননি। পরে জানা যায় অভিযুক্তের নাম-পরিচয়। নৌকাটির মাঝি সবাইকে নামিয়ে শিশুটির খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। খবর যায় প্রশাসনের কাছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শনিবার রাত হয়ে যাওয়ার পরে পরিবারের দুই ছেলে বাড়ি না ফেরায় সুমনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পরিবারের সদস্যেরা। নবদ্বীপ বরালঘাট কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ নৌকা যখন ঘাটে আসে ঠিক সেই সময় একটি শিশুকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান এক যুবক। সেই সিসিটিভি ফুটেজ তাঁদের কাছে রয়েছে। ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ শিশুটির খোঁজ করা হয়। শিশুটির মা বন্দনা বিশ্বাস বলেন, ‘‘ও বলেছিল, ‘ভাইদের নিয়ে জন্মদিন (পালন) করব। কেক আনতে যাচ্ছি’। তার পর সুব্রতকে নিয়ে বেরোল। ওর মনে এই আছে জানলে কখনও ছাড়তাম না ছেলেকে।’’ বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।