Nadia

গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার নাম করে মাঝপথে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন! নদিয়ার যুবকের খোঁজে পুলিশ

দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র। পুলিশের অনুমান, ওই অস্ত্র দিয়েই খুন করা হয়েছে মহিলাকে। অন্য দিকে, ঘটনার পর থেকেই মহিলার স্বামী পলাতক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
গয়েশপুর শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪০

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্ত্রীকে এ বার গঙ্গাসাগর মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন স্বামী। দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য কলহ ভুলে স্বামীর প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন যুবতী। গঙ্গাসাগর যাবেন বলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বার হন দম্পতি। কিন্তু শুক্রবার ওই বধূর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্জন জায়গায়। দেহের পাশ থেকে মিলেছে একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র। পুলিশের অনুমান, ওই অস্ত্র দিয়েই খুন করা হয়েছে মহিলাকে। অন্য দিকে, ঘটনার পর থেকেই মহিলার স্বামী পলাতক। পুলিশের সন্দেহ, গঙ্গাসাগর নিয়ে যাওয়ার গল্প তৈরি করে স্ত্রীকে বাইরে নিয়ে গিয়ে খুনের ছক কষেছিলেন স্বামী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার গয়েশপুর থানা এলাকায় মৃত ওই মহিলার নাম বন্দনা মুদি। ৪২ বছরের বন্দনার বিয়ে হয় বছর ২০ আগে। দম্পতির এক কন্যাসন্তান আছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিয়ের প্রথম থেকেই বন্দনা এবং তাঁর স্বামীর মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হত। বনিবনার অভাব ছিল। তার মধ্যে স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত এই অভিযোগ করে দীর্ঘ দিন আলাদা থাকতেন বন্দনা। তবে একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর পুনরায় বন্দনা স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর বাপের বাড়ির অভিযোগ, ‘‘স্বামীর পরকীয়ায় পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিল ও। তাই সুপরিকল্পিত ভাবে ওকে খুন করা হয়েছে।’’

মৃতার দাদা সুজিত ধাড়া বলেন, ‘‘বন্দনাকে খুন করার জন্য পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে রাস্তায় খুন করা হয়েছে আমার বোনকে। আসলে ওর স্বামীর ইচ্ছা অন্য মহিলার সঙ্গে সংসার করবে। ওকে ফাঁসি দেওয়া হোক।’’ অন্য দিকে, খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রানাঘাট মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ তদন্তকারী দল। দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। শুরু হয়েছে অভিযুক্তের খোঁজ। এ নিয়ে রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহও ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে। বাকি তদন্ত চলছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন