BCKV

ছাত্রেরা কে কোন হস্টেলে, তা নিয়ে অশান্ত বিসিকেভি 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা কোন হস্টেলে থাকবে তা নিয়েই দুই হস্টেলের আবাসিকদের মধ্যে গণ্ডগোল হয় শুক্রবার রাতে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৫
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। —ফাইল চিত্র।

রাতের অন্ধকারে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই দল ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোলে দিন কয়েক আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হস্টেল চত্বর। তখনকার মতো কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গলেও ফের নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা করছেন আবাসিকদের অনেকে। আতঙ্কে হস্টেলের সাধারণ ছাত্ররা।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা কোন হস্টেলে থাকবে তা নিয়েই দুই হস্টেলের আবাসিকদের মধ্যে গণ্ডগোল হয় শুক্রবার রাতে। তাতে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র জখম হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কোনও ছাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন আবাসিকদের অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্রদের জন্য রমণ আবাস ও জগদীশ আবাস নামে দুটি হস্টেল রয়েছে। এই মুহূর্তে রমণ আবাসে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা আছে। চতুর্থ বর্ষের ছাত্ররা সদ্য পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছে। আর জগদীশ আবাসনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা আছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিস দেন, যে সব ছাত্র এবার নতুন ভর্তি হয়েছে তারা রমণ আবাসে থাকবে। যা মানতে নারাজ জগদীশ আবাসের পড়ুয়ারা। আর তা নিয়েই দুই আবাসের পড়ুয়াদের বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে জগদীশ আবাসের একদল পড়ুয়া আচমকা রমণ আবাসে চড়াও হয়ে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। রমণ আবাসের ছেলেদের মারধরও করে বলে অভিযোগ। এক ছাত্র গুরুতর জখম হয়। তাঁকে জাগুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় গোটা হস্টেল চত্বরে উত্তজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সামনেই ভাঙচুর ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তিনিও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

রমণ আবাসের এক ছাত্রের কথায়, “আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত পদক্ষেপ না করায় ওরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে।” জগদীশ আবাসের ছাত্রদের পাল্টা দাবি, ইউজিসি-র নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। কাউকে মারধর বা ভাঙচুর করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত একদল ছাত্রের পছন্দ হয়নি বলে এই সমস্যা হচ্ছে। তবে কে বা কারা অশান্তির সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement