TMC

চাকরির টোপ দিয়ে মহিলাকে বাড়িতে ডেকে রাতভর নির্যাতন! মুর্শিদাবাদে ধৃত তৃণমূল নেত্রীর স্বামী

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, শনিবার সকালে মেয়ে ফোন করে জানান, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। মহিলার বাবা নওদা থানায় খবর দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নওদা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৯
arrest

— প্রতীকী চিত্র।

চাকরি দেওয়ার নামে বাড়িতে ডেকে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। অভিযোগ, রাতভর নির্যাতিতাকে আটকে রেখে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় রবিবার শোরগোল মুর্শিদাবাদের নওদা থানা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, নওদার বাসিন্দা এক মহিলাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রাক্তন প্রধানের স্বামী মনোজিৎ রায় ওরফে ছোটকা। তিনি নথিপত্র নিয়ে ওই বিবাহিতা মহিলাকে নিজের বাড়িতে আসতে বলেন। যে সময় ওই মহিলা মনোজিতের বাড়িতে যান, তখন অভিযুক্তের স্ত্রী, তৃণমূল নেত্রী রিঙ্কি রায় বাড়িতে ছিলেন না। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার মনোজিতের বাড়িতে যাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা কেটে যায়। কিন্তু ওই মহিলা আর বাড়ি ফেরেননি। নির্যাতিতার বাবার কথায়, ‘‘অনেক ক্ষণ পরও বাড়ি না-ফেরায় মেয়েকে ফোন করি। কিন্তু পাইনি ওকে। পরিচিতদের ফোন করতে শুরু করি। শনিবার মেয়ে অচেনা একটি নম্বর থেকে ফোন করে। সব কিছু জানার পর পুলিশের দ্বারস্থ হই। পুলিশকে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেছি।’’

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, শনিবার সকালে মেয়ে ফোন করে জানান, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। মহিলার বাবা নওদা থানায় খবর দেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে হানা দিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় এক জনকে।

নির্যাতিতা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সরকারি কাজ পাইয়ে দেবে বলেছিল। বলেছিল, ‘কাগজগুলো নিয়ে আয়।’ আমি যাওয়ার পর আমায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে।” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। অন্য দিকে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল দূরত্ব তৈরি করেছে। নওদা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শফিউজ্জামানের দাবি, ‘‘অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তৃণমূলের বর্তমানে কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি না, বলতে পারব না।’’ আর এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নির্যাতিত মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। আইন অনুযায়ী, তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement