West Bengal Panchayat Election 2023

কোথাও মারধর, কোথাও চলল গুলি! সিপিএম-তৃণমূলের গন্ডগোলে দিনভর অশান্ত মুর্শিদাবাদ

মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রার্থী মোস্তফা সরকারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। অল্পের জন্য গুলি থেকে রক্ষা পান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১৮:০৯
TMC and CPM clash in Murshidabad ahead of Panchayat Poll

—প্রতীকী চিত্র।

সিপিএম প্রার্থীর দোকান-সহ ওই দলের বেশ কয়েক জন কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ করল তৃণমূল। মারধরের ঘটনায় দু’জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী নেতাজুল ইসলাম লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। অল্পের জন্য গুলি থেকে রক্ষা পান তিনি। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গন্ডগোলের সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ। রানিনগর-১ ব্লকের গোপীনাথপুর গ্রামে। সেখানে সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ফরিদ শেখের দোকানে হামলার অভিযোগ ওঠে এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুর এবং শাশুড়ি বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপরও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। আশেপাশের সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতেও ওই সময় ভাঙচুর চালানো হয়। গোটা ঘটনায় আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রোকেয়া বেওয়া এবং আব্দুল কাদের নামে দুই বয়স্ক মানুষ, যাঁরা সিপিএম সমর্থক, তাঁদের মারধর করা হয়। মারের চোটে দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গ্রামবাসীরা আহত দু’জনকে ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএমের সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘ভোটের আগে গুন্ডাবাহিনী ব্যবহার করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে তৃণমূল। মানুষ গণ প্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করবে।’’ যদিও হামলা এবং আক্রমণের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের বিধায়ক সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘শান্ত এলাকাকে কী ভাবে উত্তপ্ত করা যায়, কী ভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে পরিবেশ অশান্ত করা যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস। কিন্তু সাধারণ মানুষই তা রুখে দিচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement