Murshidabad TMC Leader Murder Case

তৃণমূল নেতা খুনে ‘শার্প শুটার’ ভাড়া, পাড়ার ছেলে বিশেষ দায়িত্বে! চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল বহরমপুর-কাণ্ডে

প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে খুন হন বহরমপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ দত্ত। কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক নয়, ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল, অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৫

—প্রতীকী চিত্র।

প্রাতর্ভ্রমণে বেরোনো থেকে কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরা, তৃণমূল নেতার চলাফেরার উপর নিখুঁত নজরদারি রাখা হয়েছিল। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ‘এগজ়িট রুট’ নিশ্চিত করতে চলে টানা রেইকি। তার পর ঠিক হয় দিনক্ষণ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূল নেতা প্রদীপ দত্তকে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেল পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, তৃণমূল নেতাকে খুনের জন্য ‘শার্প শুটার’কে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। আর রেইকির দায়িত্ব ছিলেন তৃণমূল নেতার পাড়ার কোনও ছেলে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে খুন হন বহরমপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক নয়, ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। বহরমপুরের রাধার ঘাট এলাকায় প্রদীপকে যে খুন করা হবে, সেই পরিকল্পনা আগেই ছকে নিয়েছিল আততায়ীরা। তৃণমূল নেতা হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এখন আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বহরমপুর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় একটি জমি বেচাকেনা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছিলেন প্রদীপ। বহরমপুর পুর এলাকায় সদ্য প্রোমোটারি ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু স্থানীয় জমি ব্যবসায়ীর মন কষাকষি শুরু হয়েছিল। আচমকা জমি ব্যবসায় নামা এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রদীপের ব্যবসায়ী হিসাবে উত্থান একাংশের চক্ষুশূল হয়েছিল। জাতীয় সড়কের ধারে প্রদীপেরই মালিকানাধীন একটি নির্মীয়মাণ প্রজেক্টকে কেন্দ্র করে একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই খুনের বরাত দেওয়া হয়েছিল কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে প্রদীপকে খুনের জন্য যে বেশ কয়েক জন ‘শার্প শুটার’কে সুপারি দেওয়া হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্তকারীরা নিশ্চিত। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতার উপর নজরদারি চালানোর জন্য ওই শুটাররাই মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই যুবকের নাম বুবাই দাস। শুক্রবার বুবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, পুলিশি জেরায় ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা খুনে এক জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আততায়ীদের সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সে নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’’

আরও পড়ুন
Advertisement