Murshidabad Murder

তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দলেরই তিন নেতা, চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সালার শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৩

—প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে সালার থানার পুলিশ এলাকার তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে শুক্রবার তাঁদের কান্দি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন ব্যক্তির নাম মেহরাজ শেখ, মজিদ শেখ এবং সুরজ শেখ। তাঁদের সকলের বাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামে।

Advertisement

তৃণমূল কর্মী সুখচাঁদ শেখ খুনের ঘটনাতে জড়িত থাকার অভিযোগে সালার থানাতে ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়। মোস্তাফিজুর মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মৎস্য এবং প্রাণীসম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন। সুখচাঁদ খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মৃতের পরিবারের তরফে ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান-সহ মোট ১৭ জনের নামে এবং অন্য কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর নামে সালার থানায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ দায়ের করে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন ব্যক্তিকে।

পূর্বপাড়া গ্রামে বুধবার অনুষ্ঠিত ক্রিকেট ম্যাচের ফলাফল এবং তাকে কেন্দ্র করে একটি গন্ডগোলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেল এবং বৃহস্পতিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালার থানার তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্বপাড়া গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করে। সেই সময় তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। সংঘর্ষের সময় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ওই গ্রামে তৃণমূল কর্মী সুখচাঁদ শেখ। সেই সময় কয়েকজন ওই দোকানে ঢুকে সুখচাঁদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান বলে অভিযোগ। সুখচাঁদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুখচাঁদের ছেলে মিঠু শেখ তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি বুথের তৃণমূলের সভাপতি। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতি নাম জড়িয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় এবং তারা যাতে এলাকাতে শান্তিতে বাস করতে পারে, তা আমি সুনিশ্চিত করব। আমি আশা করব, পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে এফআইআর-এ নাম থাকা সকলের ভূমিকা তদন্ত করে দেখবে।’’ যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘যিনি এই খুনের ঘটনার এফআইআর করেছেন, তিনি কোনও অজ্ঞতা কারণে আমার নাম সেখানে লিখেছেন। তবে প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সত্য ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে। গ্রামে যখন মারামারি এবং খুনের ঘটনা ঘটে আমি তখন সেখানে ছিলাম না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement