—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আর ডিউটি করতে চান না অভিযোগকারী মহিলা চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রে ডিউটি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই চাপ কমানোর জন্য সুপারের কাছে অনুরোধ জানালে তিনি তাঁকে ‘অভয়া কাণ্ডে’র মতো ঘটনা ঘটবে বলে
হুমকি দিয়েছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক ২০২২ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্যাথলজিতে এমডি করেন। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি বর্ধমান মেডিক্যালে ডিউটি করেন। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বদলি হয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে অন্তত ১০ জন সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসারের পদ খালি। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যাও কম। বিভিন্ন চিকিৎসকদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়। সেজন্য তাঁরা একটি রোস্টার কমিটিও তৈরি করেছেন। যাঁরা সমস্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে ডিউটি ঠিক করেন। সেখানে কারও উপরে বেশি চাপ দেওয়া হয় না বলে দাবি একাংশের।
মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। শনিবার তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন অভিযোগকারীর সঙ্গেও। ওই মহিলা চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমার কাছে ঘটনার কথা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমি সমস্ত কিছুই জানিয়েছি। যেখান থেকে এরকম হুমকি পেয়েছি এই মুহূর্তে সেই হাসপাতালে ডিউটি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আপাতত আমাকে বলা হয়েছে শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করাতে। আমি মেডিক্যাল
লিভে রয়েছি।"