— প্রতীকী চিত্র।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনকে ১৪ দিনের হেফাজত শেষে সোমবার বহরমপুর সিজেএম কোর্টে হাজির করিয়েছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। নতুন করে তারিকুলকে হেফাজতে চাইনি তারা। শুনানির আদালতে হাজির ছিল না অসম এসটিএফ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ হেফাজতের আবেদন না করায় বিচারক তারিকুলকে পুনরায় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে নতুন করে হেফাজতের প্রয়োজন না হলে তারিকুল আপাতত জেলবন্দি থাকবে বলে বিচারক জানিয়েছেন।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে যে জঙ্গি পাকড়াও অভিযান শুরু হয়েছে, সেই সূত্র ধরে বার বার উঠেছে বর্ধমানের খাগড়াগড় প্রসঙ্গ। ধৃতদের তালিকায় ছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি-র বেশ কয়েক জন জঙ্গিও। সেই ধৃতদের জেরা করেই তারিকুলের বিষয় জানতে পারে অসম এসটিএফ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতেরা আরও কোনও বড় নাশকতার ছক করছে। জেলে বসেই ছক কষছে জঙ্গিরা। সেই সূত্র ধরেই সোমবার সকালে বহরমপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এসে তারিকুলকে জেরা করেন অসম এসটিএফের আধিকারিকেরা। এর পর গত ৬ জানুয়ারি বহরমপুর আদালতে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল রাজ্য স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। বিচারক রাজ্যের এসটিএফ-এর আবেদন মঞ্জুর করেছিল।
সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, ‘‘সোমবার বেঙ্গল এসটিএফ তারিকুলকে আদালতে পেশ করে হেফাজতের আবেদন করেনি। বিচারক তাকে পুনরায় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’’