— প্রতীকী চিত্র।
কয়েক দিন ধরেই শরীরটা ঠিক যাচ্ছিল না উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রীতম দাসের। কিন্তু পরীক্ষা তো দিতেই হবে। বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতেই হঠাৎ বেশি রকম অসুস্থ বোধ করতে থাকে সে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মহিষাইল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা মুর্শিদাবাদে সুতি থানার অওরঙ্গাবাদ হাইস্কুলের।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ইতিহাস পরীক্ষার দিন একটি টোটোতে চেপে পরীক্ষা দিতে আসে প্রীতম। পরিবারের সদস্যেরাও সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু বছর ১৯-এর ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রতিবন্ধী ওই ছাত্র। এর পর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রীতমকে সেখান থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ছাত্রের বাবা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘সকাল থেকে শরীর ভাল ছিল না ছেলের। পরীক্ষা দিতে যেতে নিষেধও করেছিলাম। কিন্তু ছেলের মনের জোর ছিল খুব। বলল, ‘আর ক’টাই বা পরীক্ষা। ঠিক পেরে যাব বাবা।’ পেরে উঠল না ছেলেটা!’’