জলপথ: দুই নদীর জলে ভেসে কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের অবস্থা। ছবি: কৌশিক সাহা
আচমকা মাঝ রাতে জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে এলাকার আমন ধানের খেত। সঙ্গে ময়ূরাক্ষীর জলস্ফীতির কারণে কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় ম্যাসেঞ্জার জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছিল। ওই জল ধরে রাখতে না পেরে বীরভূমের তিলপাড়া জলাধার থেকে ময়ূরাক্ষীতে জল ছাড়া হয়। কুঁয়ে ও ময়ূরাক্ষী নদীর জল মিশে গিয়ে ভরতপুর ১ ব্লকের গুন্দিরিয়া ও গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বড় এলাকার ধানের জমি জলে ডুবে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জল ছেড়ে ছিল তিলপাড়া জলাধার। ওই জল এলাকায় পৌঁছতে ভোর হয়ে যায়। একই সঙ্গে নিম্নচাপের জেরে কুঁয়ে নদীর জল ভালই ছিল। দু’টি নদীর জল এক সঙ্গে মিশে বিপদ ঘটেছে।
ভরতপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের বিশ্বজিৎ বাগদি বলেন, “ময়ূরাক্ষী নদীতে রাতে জল ছাড়া হয়েছে সেটা এলাকার বাসিন্দাদের জানা ছিল না। সকালে আচমকা নদীতে জল দেখা যায়। একাধিক নৌকা জলে ভেসে গিয়েছে। একই সঙ্গে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান জলে ডুবে গিয়েছে।” এলাকার ছত্রপুর, কোল্লা, চাঁদপুর, রুহা, ইব্রাহিমপুর, জাখিনা গ্রামের ধান খেত জলের নীচে। জলে ভরা সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে নিত্যযাত্রীরা মোটরবাইক, ছোট গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করছেন। চলছে যাত্রী বোঝাই বাস, ট্রাকও।