Fire at Firecracker Shops

পর পর বাজির দোকানে আগুন! আতঙ্কে হুড়োহুড়ি ঝাড়খণ্ডে, দীপাবলির রাতে ভস্মীভূত ৬৬টি দোকান

প্রতি বছরই বোকারোর গর্গ সেতুর কাছে অস্থায়ী ভাবে বাজির দোকান সাজিয়ে বসেন বহু বিক্রেতা। দীপাবলি উপলক্ষে বাজির কেনার জন্য ভিড়ও হয় সেখানে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দীপাবলির রাতে অঘটন। ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গলে একের পর এক আতশ এবং শব্দবাজির দোকান। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বোকারোর গর্গ সেতুর কাছে।

Advertisement

বোকারোর ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) অলোক রঞ্জন জানিয়েছেন, ১৩-১৪টি দোকান পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, ৬৬টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। প্রতি বছরই বোকারোর গর্গ সেতুর কাছে অস্থায়ী ভাবে বাজির দোকান সাজিয়ে বসেন বহু বিক্রেতা। দীপাবলি উপলক্ষে বাজির কেনার জন্য ভিড়ও হয় সেখানে।

ডিএসপি জানিয়েছেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই প্রতি বছর ওই সেতুর কাছে অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসেন বাজি বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার কেনাকাটার ভিড়ও ছিল। আচমকাই বাজি ফাটতে শুরু করে। তার পর সেই বাজি থেকেই একের পর এক দোকানে আগুন লেগে যায়। ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দোকান ছেড়ে কোনও পালাতে শুরু করেন বিক্রেতারাও। এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়। যে হেতু দোকানগুলি গা ঘেঁষাঘেষি করে বানানো হয়েছিল, ফলে অন্য দোকানগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিপুল শব্দ করে নানা রকমের বাজি ফাটতে থাকে। লোকজন প্রাণভয়ে এ দিক -ও দিক পালাতে শুরু করেন।

আগুনের বিশাল গোলা উঠতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাজির ধোঁয়ার দমবন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। যে ভাবে বাজিগুলি ফাটছিল, তাতে যে কোনও মুহূর্তে যে কারও প্রাণহানি হতে পারত। সময় মতো লোকজন দোকান ছেড়ে দূরে সরে যান বলেই প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েক লক্ষ টাকার বাজি পুড়ে গিয়েছে। তবে কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।

আরও পড়ুন
Advertisement