Mid Day Meal

মিডডে মিল ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে কি না দেখতে পরিদর্শন

এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চল এবং চক্র পর্যায়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনেও বিদ্যালয় খোলা রেখে মিডডে মিল চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৫
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কাল শুক্রবার মিডডে মিলের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল এ রাজ্যে আসছে। যার জন্য তঠস্থ রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে মিডডে মিল ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে জেলায় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক থেকে শুরু করে অন্য সরকারি আধিকারিকরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চল এবং চক্র পর্যায়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনেও বিদ্যালয় খোলা রেখে মিডডে মিল চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বরাবরই অঞ্চল এবং চক্র পর্যায়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলিতে বিদ্যালয় পঠনপাঠন বন্ধ রেখে শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়র মাঠে যান। কিন্তু এ বছর মিডডে মিলের হাল হওয়া হকিকত খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল আসবে এমন খবরে অঞ্চল ও চক্র পর্যায়ে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনেও মিডডে মিল চালু করার চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষকদের একদিকে বিদ্যালয় যেমন চালু রাখতে হচ্ছে, তেমনই আবার ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাঠে গিয়ে উপস্থিত হতে হচ্ছে। একই দিনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করা আবার বিদ্যালয় চালু রাখা সমস্যার। এক সঙ্গে দু’টি কাজ করলে, কোনওটিই ভাল হবে বলে মনে হয় না। না খেলা ভাল হবে, না পড়াশোনা ভাল হবে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংসদের চেয়ারম্যান আশিস মার্জিত বলেন, ‘‘এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তো বিদ্যালয়ের সব ছাত্রছাত্রী যোগ দেয় না। তাই যারা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে নির্ধারিত খেলার যাবে তারা মাঠেই যাবে। যারা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে না তাদের জন্য বিদ্যালয় খোলা থাকবে এবং মিডডে মিলও চালু থাকবে। এটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ মিডডে মিল কেমন হচ্ছে তা পরিদর্শনের গুঁতোর ফলেই কি এমন নির্দেশ? আশিস মার্জিত বলেন, ‘‘এ রকম কোনও বিষয় নয়। যারা খেলায় যোগ দেবে না তাদের জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার পাশাপাশি মিড ডে মিল চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

মঙ্গলবার বহরমপুরের গুরুদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে অঞ্চল পর্যায়ের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছে। সেদিন একদিকে যেমন অঞ্চল পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায হয়েছে, তেমনই বিদ্যালয় চালু রেখে মিডডে মিল খাওয়ানো হয়েছে। বুধবারও বহরমপুরের সদর পশ্চিম চক্রের এবং সারগাছি চক্র এলাকায় চক্র পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছে। সঙ্গে বিদ্যালয় চালু রেখে মিডডে মিল হয়েছে। সারগাছি চক্রের এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘হঠাৎ করে মঙ্গলবার জানতে পারি এদিন মিডডে মিল চালু রাখতে হবে। তাই বুধবার সকালে (মর্নিং) স্কুল করে খেলার মাঠে এসেছি।’’

সদর পশ্চিম চক্রের এক প্রধান শিক্ষক বলছেন, ‘‘এবারে হঠাৎ করে চক্র পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনও বিদ্যালয়ে মিডডে মিল চালু রাখার নির্দেশ দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। একই লোক কত দিকে কাজ করবেন?’’

লালগোলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘মিডডে মিলের খোঁজ না নিয়ে একটু পড়াশোনার বিষয়ে খোঁজ নিন। তাতে পড়ুয়ারা কেমন পড়ছে তা জানা যাবে। বিদ্যালয়গুলিও এ বিষয়ে আরও উদ্যোগী হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement