প্রতীকী ছবি।
বিজেপিকে টেক্কা দিতে এবার তৃণমূল তাদের ভোট প্রচারে নামাচ্ছে এক গুচ্ছ হেভিওয়েট নেতা ও চিত্রতারকাকে।
২০ সেপ্টেম্বর থেকে এই দুই কেন্দ্রে ভোট প্রচারের ছাড়পত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন প্রচারে অনুমতি না দিলেও দুটি কেন্দ্রেই থেমে নেই কোনও দলেরই নির্বাচনী প্রচার।
সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সোমনাথ সিংহ রায়ের অভিযোগ, “প্রশাসন ও পুলিশ চোখ বুজেও রয়েছে। মিছিল, মিটিং,বাইকে প্রচার সবই চলছে। কারও মুখে কোনও মাস্ক নেই। ছবি ছড়াচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু দেখেও দেখেন না কেউ। আমরা সমস্ত ছবি সহ অভিযোগ জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশনে।”
ভোটের তারকা প্রচারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে সূচি দেওয়া হয়েছে তাতে নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক অধিকারী অর্থাৎ নায়ক দেব, রাজ চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, জুঁই মালিয়ার। আসবেন ফিরহাদ হাকিমও। তবে অভিষেক আসবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সহ জনা দশেক বিধায়ক ও সাংসদ এক এক করে নামছেন ভোটের ময়দানে। আসবেন শুভেন্দু অধিকারীও। একদা মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন জাকির হোসেন, খলিলুর রহমান, আখরুজ্জামান সহ জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার বহু ছোট বড় তৃণমূল নেতা। এখন বিজেপির মঞ্চ থেকে তাদের কীভাবে আক্রমণ করেন শুভেন্দু তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে অনেকেরই।
বামেদের তরফে প্রচারে এখনও পর্যন্ত কোনও তারকা প্রার্থীর নাম নেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়া।
এখনও পর্যন্ত অবশ্য প্রকাশ্য নির্বাচনী সভা শুরুই হয়নি। ঘরোয়া যে সব সভা হচ্ছে তাতে যে অনেকটাই এগিয়ে শাসক দল তৃণমূল প্রার্থীরা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রায় প্রতিদিনই দুই কেন্দ্রে ছুটে বেড়াচ্ছেন দলের জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান। প্রচারে নেমেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামানও। তবে এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক বা মন্ত্রীরা তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসেননি দুই কেন্দ্রে।
দুই কেন্দ্রে প্রচারের যে তারকা তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তাতে ঘুম ছুটেছে পুলিশ ও প্রশাসনের। প্রকাশ্য সভায় এক হাজারের বেশি লোক জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদের কথা বাদ দিলেও দেব, অভিষেকের প্রকাশ্য সভা মাত্র এক হাজার লোকের মধ্যে আটকে রাখা যাবে কি না পুলিশের কপালে ভাঁজ পড়েছে তা নিয়ে।