প্রতীকী ছবি।
বাইরে থেকে কাউকে আনা হবে না কি স্থানীয় কেউ টিকিট পাবেন, তারকার দ্যুতি ভরসা নাকি সংগঠনের জোর, এই নিয়ে নানা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরেই।
বছর সাতেক আগে এক উপ-নির্বাচনে অজয় দে-র জয় বাদে আর কখনই শান্তিপুর কেন্দ্রে জয় পায়নি তৃণমূল। এই উপ-নির্বাচনে তাই জয় পেতে তারা মরিয়া। আর বিজেপির লড়াই, ফিকে হয়ে যাওয়া হাওয়াতেও এই জেতা আসন ধরে রাখতে পারা।
আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন। তার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ৮ অক্টোবর। তার আগেই প্রার্থী বাছাই করতে হবে সব দলকে। তৃণমূলের অন্দরে কয়েকটি নাম ভাসছে। শান্তিপুর শহরের এক নেতার নাম যেমন রয়েছে, এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের নামও শোনা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। জেলার বণিক সংগঠনের এক কর্তাও শান্তিপুরে তৃণমূলের প্রার্থিপদের দাবিদার। সেই জেলাস্তরের একাধিক নেতার নামও ঘুরপাক খাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই গোষ্ঠী কোন্দলে শান্তিপুরে জেরবার তৃণমূল। অজয় দে-র প্রয়াণ উপনির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে। আবার প্রায় ১৬ হাজার ভোটে হারা আসন জেতাও সহজ কাজ নয়। তার উপরে অজয়-শিবিরের সঙ্গে বিরোধী পক্ষের চিকন্তন কোন্দল তো আছেই। এই সব ফাঁড়া এক সঙ্গে কাটাতে শক্তপোক্ত প্রার্থী প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে রাজ্যস্তরের এক নেতা প্রার্থী হতে পারেন বলেও দলের অন্দরে জল্পনা চলছে। আবার এক অভিনেত্রী এবং এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামও ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে। শান্তিপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি বৃন্দাবন প্রামাণিক অবশ্য বলছেন, “দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁকে জেতানোর জন্যই দলের সকলে একযোগে ঝাঁপাবেন।”
প্রার্থী নিয়ে বিস্তর ধন্দ রয়েছে বিজেপিতেও। মাস চারেক আগের ভোটে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল তারা। তাঁর কাছে অজয় দে পরাস্ত হন। কিন্তু দল রাজ্যে ক্ষমতা দখল করকে না পারায় আর সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক থাকেননি জগন্নাথ। তাঁর ইস্তফার কারণেই এই অকাল নির্বাচন। তাঁর ছেড়ে যাওয়া রাজপাটে এ বার কাকে লড়তে পাঠাবে দল? জগন্নাথ বলেন, ‘‘এ সব সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। সংগঠনের উচ্চ পদে থাকা নেতারাই বলতে পারবেন।”
আপাতত বিজেপি শিবিরেও স্থানীয় কিছু নামের পাশাপাশি বাইরের নামও ভাসছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া এক প্রাক্তন বিধায়কের নাম যেমন রয়েছে জল্পনায়।, দলের দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কমিটির এক পদাধিকারীর নামও হাওয়ায় ভাসছে। দলের এক নেতার স্ত্রীর নামও উঠে এসেছে আলোচনায়। দূর্গরক্ষার জন্য রাজ্য কমিটির এক পদাধিকারীকেও আনা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। সেই সঙ্গে কয়েছে রাজ্যস্তরে দলের একটি সেলের পদস্থ নেতার নামও। তবে এ সব নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ।
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “শান্তিপুরের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে নজর রেখেই আশা করি আমাদের দলের উচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।”