unnatural death

চার মাসের সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে গলায় ফাঁস নিলেন মা! দরজা ভেঙে শান্তিপুরে বধূর দেহ উদ্ধার

সুপ্রিয়ার স্বামী সুমিত বিশ্বাস কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। অন্যান্য দিনের মতো ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের ট্রেন ধরে কলকাতায় রওনা হন সুমিত। বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে একাই ছিলেন স্ত্রী সুপ্রিয়া।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৫
সুপ্রিয়ার স্বামী সুমিত বিশ্বাস কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। তিনি অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আত্মহত্যা করেন স্ত্রী।

সুপ্রিয়ার স্বামী সুমিত বিশ্বাস কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। তিনি অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর আত্মহত্যা করেন স্ত্রী। —প্রতীকী চিত্র।

সন্তানের বয়স মাত্র চার মাস। তাকে ঘুম পাড়িয়ে ওই ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাগচীর বাগান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুপ্রিয়া বিশ্বাস (২৭)। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সুপ্রিয়ার স্বামী সুমিত বিশ্বাস কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। অন্যান্য দিনের মতো ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের ট্রেন ধরে কলকাতায় রওনা হন সুমিত। বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে একাই ছিলেন স্ত্রী সুপ্রিয়া। প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়ির পাশে কীর্তন হচ্ছিল। তাই কোনও অশান্তি বা চেঁচামচি শুনতে পাননি তাঁরা। তবে পাশের বাড়ির এক মহিলা সকালেই সুপ্রিয়াকে ডাকতে গিয়ে তাঁর সাড়া পাননি। কয়েক জনকে ডাকাডাকি করেন তিনি। এর পর দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন কয়েক জন। তাঁরা দেখেন গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলছেন বধূ। তাঁরা মহিলাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহ।

Advertisement

মৃতার স্বামী সুমিতের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে কোনও অশান্তি বা মন কষাকষি হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘সকালেও বেরোনোর সময় ভাল ভাবে কথা বলল কোনও অশান্তি কিংবা অভিমানের আঁচ পাইনি। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।’’ প্রতিবেশীরাও জানাচ্ছেন, সুপ্রিয়া এবং সুমিতের দাম্পত্য অশান্তির কোনও আঁচ তারা কখনও পাননি। পুরো ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকা। এই ঘটনায় রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘এখনও এই ঘটনার কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement