হাসপাতালে ভোটের সময় মারামারিতে জখম ব্যক্তিরা। —নিজস্ব চিত্র।
সমবায় সমিতির ভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লকের হিকোমপুরে। দৌলতাবাদ থানার ঘুনির মোড়ে জানমহম্মদপুর হিকোমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ছিল শুক্রবার। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে বচসা এবং মারপিট হয়েছে। মারামারিতে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে দীর্ঘ ১২ বছর পর হাই জানমহম্মদপুর হিকোমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় ভোটদান। মোট ১৩টি আসনে ওই সমবায় সমিতিতে লড়াই করে তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেস। ভোটের শুরুতেই বাম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের শুরুতেই তাদের নেতৃত্বকে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে।
বহরমপুর পূর্ব ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি নূরজামান মোল্লার অভিযোগ, ‘‘ভোট শুরুর পর পুলিশের সামনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ব্লকের সম্পাদক সাবির শেখকে মারধর করেন। হাতিনগর অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি জয়নুদ্দিন শেখের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ একই অভিযোগ শোনা গেল বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর গলায়। তিনি বলেন, ‘‘সামান্য সমবায় সমিতির নির্বাচনেও দখলের লড়াই! নির্বাচনের নামে প্রহসন হল।’’
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের নেতারা বলছেন, আগে ওই সমিতি ছিল বামফ্রন্টের দখলে। তাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দেউলিয়া হয়ে যায় সমবায় ব্যাঙ্ক। পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল। সেই জায়গা থেকে এলাকাবাসীদের উন্নয়নের স্বার্থে ভোট হল। এখন হার নিশ্চিত বুঝে সিপিএম এবং কংগ্রেস কাঁদুনি গাইছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুজাম্মেল শেখ বলেন, ‘‘সিপিএম-কংগ্রেস দীর্ঘ দিন ধরে ভোট না করে অচলাবস্থা তৈরি করেছে। অচলাবস্থাকে সচল করার জন্যই বার বার প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হয়েছি। আজ সেই নির্ঘণ্ট। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার হয়েছে। আগামিদিনে এলাকার কৃষিজীবী মানুষেরা ঠিক ভাবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন।” বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘শান্তিশৃঙ্খলা মেনে ভোট হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও মানুষের সহযোগিতায় ভোট হয়েছে। কোনরকম রিগিং হয়নি।’’