Krishnanagar

পুলিশকর্মীর হাতে কামড় দিয়ে দে দৌড়! কৃষ্ণনগর আদালত থেকে রাস্তায় ডাকাত-পুলিশের ‘খেলা’

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত এক আসামিকে আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু আদালত চত্বর থেকেই পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০২
Robbery

পুলিশের হাতে কামড় বসিয়ে আদালত থেকে পালানোর চেষ্টা ডাকাতি মামলার আসামির। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আদালতে হাজিরার আগে পুলিশকর্মীর হাতে কামড় দিয়ে দৌড় দিলেন ডাকাতির মামলায় এক অভিযুক্ত। তাঁকে ধরতে কার্যত হিমশিম দশা পুলিশের। বেশ খানিক ক্ষণ চলল দৌড়োদৌড়ি। পুলিশ এবং ডাকাতের ‘রেস’ নিয়ে শোরগোল ছড়াল নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা আদালত চত্বরে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত এক আসামিকে আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু আদালত চত্বর থেকেই পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। আচমকা এক নিরাপত্তারক্ষীর হাতে কামড় বসিয়ে দৌড় দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। পুলিশকর্মীরা ‘ধর-ধর’ করে পিছু নেন ডাকাতি মামলার আসামির। শেষমেশ আদালত সংলগ্ন রাস্তা পার হতে গিয়ে আবার পুলিশের হাতে পাকড়াও হন ওই অভিযুক্ত। কিন্তু আদালত চত্বরে পুলিশের নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে আসামির পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তকে পাকড়াও করার পরে তাকে ঘিরে নজরদারি আরও জোরদার করেছে পুলিশ।

আদালত সূত্রে খবর, ওই আসামির নাম মানিক শীল। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁকে হাজির করেছিল আদালতে। এক পুলিশকর্মীর হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এক ব্যক্তির পিছনে পুলিশকে দৌড়তে দেখে পথচলতি কয়েক জন পুলিশকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক জন যুবকও ওই আসামিকে ধরার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীর পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ। শেষমেশ আদালত চত্বর থেকে খানিক দূরে একটি হাসপাতালের সামনে ধরা পড়েন তিনি। কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের আইনজীবী শুভ্রলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ হইচই শুনে চোখ তুলতেই দেখি, এক আসামির পিছনে পুলিশ দৌড়োচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে আদালতে উপস্থিত অনেকে ওই আসামিকে ধাওয়া করে। সেন্ট্রাল নার্সিংহোমের সামনে তাকে আবার ধরা সম্ভব হয়েছে।’’

শেষমেশ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসামিকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সওয়াল-জবাবের পর আসামিকে আবার সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন
Advertisement