এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এলাকার দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার সেকেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার রাতভর বোমাবাজিতে আতঙ্ক ছড়াল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বোমার আঘাতে বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী আহত হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গন্ডগোলে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ওই অশান্তি নিয়ে মুখ খোলেননি জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
শনিবার রাতে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয়েরা। জানা যাচ্ছে, দুই পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে গন্ডগোল থেকে ওই অশান্তির সূত্রপাত। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, শনিবার সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ডলি খাতুনের স্বামী আব্দুর রহমান জঙ্গিপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। তৃণমূল নেতা আব্দুর রহমান এবং দলের আর এক পঞ্চায়েত সদস্য রাফিনা বিবির স্বামী শুকু শেখের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয় তাঁদের। ডলির স্বামীর অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় তাঁর উপর হামলা চালান শুকুর ঘনিষ্ঠ কয়েক জন এবং বহিরাগতেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বচসার পর দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুকু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দোষারপ করেছেন।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী। রবিবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর কোনও খবর মেলেনি। তবে গোটা এলাকাই এখন থমথমে। জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘একটি পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’’