Fake Notes

জাল নোট পাচারের অভিযোগে নদিয়ায় ধৃত দুই, মানবাধিকার সংগঠন বলছে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র!

পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণ থানার পাশে একটি গ্যারাজে কাজ করতেন। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে কৃষক মঞ্চের প্রাক্তন সম্পাদক মানিক বিশ্বাসকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ২০:৫১
Row over 2 arrested for fake note laundering in Krishna Nagar

তরুণের গ্রেফতারির পর বৃহস্পতিবার তাঁকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেলে হেফাজতে নির্দেশ দেন। —প্রতীকী চিত্র।

জাল নোট পাচারের চেষ্টার অভিযোগে নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছে ওই জেলার ভীমপুর থানার পুলিস। এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলল মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তরুণ মণ্ডল নামে ধৃত ওই ব্যক্তি।

বুধবার তরুণের গ্রেফতারির পর বৃহস্পতিবার তাঁকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেলে হেফাজতে নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণ থানার পাশে একটি গ্যারাজে কাজ করতেন। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে কৃষক মঞ্চের প্রাক্তন সম্পাদক মানিক বিশ্বাস কৃষ্ণনগর আদালতে তরুণের সঙ্গে দেখা করতে গেলে দুপুর ৩টে নাগাদ তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, তরুণের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেই একই অভিযোগে মানিক বিশ্বাস-সহ আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ।

Advertisement

এই গ্রেফতারির ঘটনায় এপিডিআর কৃষ্ণনগর শাখার দাবি, ‘‘মানিক বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জন খেলার মাঠ দখল, মাফিয়া এবং প্রোমোটারদের জমি দখলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করেছেন। খাস জমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া গ্রামবাসীদের পুনরায় ওই জমিতে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। মানুষের বাসস্থানের অধিকার সুরক্ষিত করার এই কাজ আসলে শাসকদলের দখলবৃত্তির কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই এমন পদক্ষেপ।’’ এপিডিআরের কৃষ্ণনগর শাখা সম্পাদক মৌতুলি নাগ সরকার অভিযোগ করেন, ‘‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থামানোর জন্য জাল টাকার মামলা দেওয়া হচ্ছে। এটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। এতে রাজনৈতিক কর্মীদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয়। মিথ্যা অভিযোগে কৃষক আন্দোলনের কর্মীদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এবং ধিক্কার জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে তরুণ মণ্ডল এবং মানিক বিশ্বাসের নিঃর্শত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

এই বিতর্কে বেশি কিছু বলতে নারাজ প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পালের মন্তব্য, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement