বর্ষা নামতেই রুদ্ররূপ গঙ্গার, ভাঙছে পাড়। শমসেরগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র।
জল্পনা ছিল, শমসেরগঞ্জে গঙ্গার ভাঙনের চেহারা পরিদর্শন করতে যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক পরিদর্শনে না আসায় ‘হতাশ’ শমসেরগঞ্জের ভাঙন-বিধ্বস্ত গ্রামগুলির বাসিন্দারা।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী গিয়েছিলেন শমসেরগঞ্জে। প্রশাসনিক মহলে জল্পনা ছিল, তিনি ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে যেতে পারেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি যাননি। চসকাপুরের এক স্কুলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন জেলাশাসক। সেখানে সরকারি নানা প্রকল্পের সুবিধা বাসিন্দারা কেমন পাচ্ছেন, সে ব্যাপারে খোঁজ নেন তিনি। তবে জেলাশাসক না আসায় হতাশ গ্রামবাসীরা। লোহরপুরের বাসিন্দা মনোজ মণ্ডল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যে আশ্বাসে আর ভুলছি না। কিন্তু জেলাশাসক নিজের চোখে দেখে গেলে পারতেন, কী অবস্থায় আছি আমরা। তিনি এলে আমরা দুর্দশার কথা জানাতে পারতাম। কিন্তু তিনি তো এলেন না।’’ তবে, শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কার ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘১৯ জুলাই লোকসভার অধিবেশন শুরু হবে। ভাঙন পরিস্থিতির কথা সংসদে তুলে ধরব। ভাঙন রোধে কেন্দ্রের সাহায্য চাইব। ক্ষতিগ্রস্তদেরও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে।’’