Potato Price

বাজারে আলুর দর হিমঘরের দ্বিগুণ

বহরমপুরের এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী, জানান হিমঘর থেকে আলু বেরনোর পরে তা ঝাড়াই বাছাই করতে হয়। পরিবহণ খরচ, লোডিং আনলোডিং খরচ সহ নানা ব্যয়ও রয়েছে।

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫৬
দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।

দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। — ফাইল চিত্র।

হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ সময় রয়েছে। যার জেরে হিমঘর থেকে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা দ্রুত আলু বের করে দিচ্ছেন। ফলে হিমঘর থেকে নানা ধরনের আলু সাড়ে ছ’টাকা থেকে ৮ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর সেই আলু কয়েক হাত ঘুরে আমজনতাকে কিনতে হচ্ছে ১৮-২০ টাকা কেজি দরে। আর নতুন আলু কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

এই সময় আলুর দাম কম থাকে। কিন্তু তার পরেও আলুর দাম বেশি থাকায় আমজনতা ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হিমঘর থেকে যে দামে আলু বিক্রি হচ্ছে, কয়েক হাত ঘুরতে তার দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয় কী করে?

Advertisement

বহরমপুরের এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী, জানান হিমঘর থেকে আলু বেরনোর পরে তা ঝাড়াই বাছাই করতে হয়। পরিবহণ খরচ, লোডিং আনলোডিং খরচ সহ নানা ব্যয়ও রয়েছে। ফলে হিমঘরের দাম এবং পাইকারি দামের তফাত তো থাকবে। কিন্তু সে তফাত কতটা হতে পারে সে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে আলুর দাম খুচরো বাজারে কমছে না।

তবে মুর্শিদাবাদের কৃষি বিপণন দফতরের সহ অধিকর্তা সুপ্রিয় দত্ত বলেন, ‘‘জেলায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তেমন আলু চাষ হয় না। অন্য জেলা থেকে এখানে আলু আসে। এ ছাড়া আলুর দর আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না।’’

সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে আলু বের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর করা হয়েছে। চাষিরা সেই আলু বের করতে শুরু করেছেন। অনেক চাষি হিমঘর থেকে আলু বের করে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করছেন। আবার অনেকেই বন্ড বিক্রি করে দিচ্ছেন ফড়েদের কাছে। ফড়েরা সেই বন্ড কিনে আলু বের করে ঝাড়াই বাছাই করে বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। সেখান থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা আলু কিনে খুচরো বাজারে বিক্রি করছেন।

মুর্শিদাবাদে বড়ঞা ব্লকেই মূলত আলু চাষ হয়। সেখানে জলদি জাতের আলুও চাষ। তবে বড়ঞায় এখনও সে ভাবে জলদি জাতের আলু না উঠলেও বাজারে অন্য জেলা বা রাজ্য থেকে নতুন আলু ঢুকতে শুরু করেছে। তবে সেই আলুর কিনতে গিয়েও লোকজনকে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। নতুন আলু বহরমপুরের খুচরো বাজারে কেজি পিছু ৪০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। তবে বহরমপুরের খুচরো আনাজ ব্যবসায়ী দীপক মণ্ডল বলছেন, ‘‘আমরা চাপাডাঙার পুরনো জ্যোতি আলু পাইকারি ১৫ টাকা কেজি দামে কিনছি। সেই আলু ১৮ কেজি দরে বিক্রি করছি।’’ লালগোলার এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী মহম্মদ বাইদুল ইসলাম বলছেন, ‘‘পাইকারি কেজি পিছু ৮-১২ টাকা দামে নানা ধরনের পুরনো আলু আমরা বিক্রি করছি। এ ছাড়া বিহার থেকে আসা নতুন আলু ২১ টাকা কেজি দামে বিক্রি করছি।’’

বডঞার ডাকবাংলোর এক হিমঘরের মালিক রমেন দাস বলছেন, ‘‘আমাদের মূলত পোখরাজ আলু আছে। সেই আলু ঝাড়াই বাছাই করে চাষিরা ৬৪০-৬৬০ টাকা কুইন্টাল বিক্রি করছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement