Calcutta High Court

কবর থেকে তোলা হল মুর্শিদাবাদের নাবালিকার দেহ, আদালতের নির্দেশে আবার হবে ময়নাতদন্ত

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাই কোর্টে যায় নাবালিকার পরিবার। সেই মামলাতেই হাই কোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালে কিশোরীর দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হরিহরপাড়া (মুর্শিদাবাদ) শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৮
representative image

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কবর থেকে কিশোরীর দেহ তুলে আবার ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিশ। দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য হরিহরপাড়ার কিশোরীর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতার এসএসকেএমে। শুক্রবার পুলিশের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তোলা হয়। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও অন্যান্য পুলিশি রিপোর্ট আগামী ৬ মার্চ আদালতে জমা দেওয়া হবে।

Advertisement

চলতি বছরের জানুয়ারির ২৫ তারিখ মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। আত্মীয় বা বন্ধু কারও বাড়িতে খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। তার দু’দিন পর ২৭ জানুয়ারি হরিহরপাড়া থানা থেকে ফোন আসে ওই কিশোরীর বাড়িতে। জানানো হয়, এক কিশোরীর দেহ মিলেছে। লোকালয় থেকে কিছু দূরে সর্ষেখেতে গলায় ফাঁস লাগানো, মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় কিশোরীর দেহটি উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে পরিবার। দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিশোরীর শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ। উপড়ে নেওয়া হয়েছিল দু’টি চোখ। ইনকোয়েস্ট (সুরতহাল) রিপোর্ট ও নিহত কিশোরীর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু দেখা যায়, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে কোনও মিল নেই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ বা পুলিশের রিপোর্টের। চিকিৎসক ও পুলিশের রিপোর্টের ফারাক থাকায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কবর খুঁড়ে কিশোরীর দেহ তুলে এনে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন পুলিশকে।

মৃতা তরুণীর মা বলেন, ‘‘স্থানীয় এক তরুণ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তদন্ত সঠিক ভাবে হচ্ছিল না। ময়নাতদন্তও ঠিক ভাবে হয়নি। তাই আদালতে গিয়েছিলাম। আমরা অভিযুক্তের ফাঁসি চাই। আশা করছি এ বার সুবিচার পাব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement