নিখোঁজ রোগীকে উদ্ধার করে আনার পরে। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতাল থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক রোগী। পরে তাঁকে কৃষ্ণনগর স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রোগী-নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে রোগী বেরিয়ে যেতে পারলেন সেই প্রশ্ন ওটা শুরু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বছর ছাপান্নোর ওই রোগীর নাম বলাই মৈত্র। বাড়ি কোতোয়ালি থানার বিষ্ণুপুর এলাকায়। বছর তিনেক আগে তাঁর সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়। পাশাপাশি গ্যাস-অম্বল ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাতেও ভুগছিলেন। শনিবার দুপুরে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
রবিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত স্ত্রী অন্নপূর্ণাদেবী হাসপাতালেই ছিলেন। রাতে তিনি বাড়ি চলে আসেন। এক জন পুরুষ আয়াকে বলাইবাবুর দেখাশোনার জন্য তাঁর পরিবার নিয়োগ করেছিল। সোমবার সকাল ছ’টা নাগাদ সেই আয়াই অন্নপূর্ণদেবীকে ফোন করে জানান যে, বলাইবাবুকে পাওয়া যাচ্ছে না! পরিবারের লোকজন দ্রুত হাসপাতালে যান। আশপাশে অনেক খোঁজাখুজি করেও বলাইবাবুর কোনও সন্ধান মেলে না। এর পর কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
দুপুর দু’টো নাগাদ স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা থেকে একজন ফোন করে জানান যে, বলাইবাবুর মতো এক জনকে পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা সেখানে গিয়ে দেখেন, পুকুরের পাড়ে বসে আছেন বলাইবাবু। বলাইবাবুর ভাইপো সন্দীপ মিত্র বলেন, “ভাবতে আবাক লাগছে যে, এক জন রোগী হাসপাতাল থেকে চলে গেলেন অথচ কেউ দেখল না? আয়া, নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছিলেন?’’
শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার আফিদুল মিয়া বলেন, “কী ভাবে ওই রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছি। ভবিষ্যতে এমন যেন আর না-হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।”