Masood Mondal arrested

‘নদিয়া-মুর্শিদাবাদের ত্রাস’ সেই হাতকাটা মাসুদ গ্রেফতার, পুলিশের জালে সুপারি কিলার গ্যাং

পুলিশ সূত্রে খবর, মাসুদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা রয়েছে। বোমা-বন্দুক মজুত রাখার পাশাপাশি, বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মেও জড়িত তিনি। তবে দীর্ঘ দিন ধরে ফেরার থাকার কারণে তাঁর খোঁজ মিলছিল না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চাপড়া শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০০

—নিজস্ব চিত্র।

অতীতে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় তাঁর নাম উঠে এসেছিল। নাম জড়িয়েছে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনাতেও। কিন্তু সেই ‘দুষ্কৃতী’র নাগাল পেতে এত দিন কালঘাম ছুটেছে পুলিশকর্তাদের। কোনও ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হতেই তদন্তকারীরা গোপন সূত্র মারফত খবর পেতেন, কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছে ‘হাতকাটা মাসুদ’! ঠিক তার কিছু দিন পরেই আর একটি ঘটনায় উঠে আসত তাঁর নাম। অবশেষে দলবল সমেত পুলিশে জালে ধরা পড়লেন মাসুদ মণ্ডল।

Advertisement

সম্প্রতি নদিয়ার রানাঘাটে একটি নামী স্বর্ণবিপণিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কুন্দন সিংহ-সহ পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই জেলা জুড়়ে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে খোঁজখবর চালানো হচ্ছিল। তার মধ্যে শুক্রবার রাতে গোপন সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পান, চাপড়ার বাঙালজি এলাকায় একটি ফাঁকা মাঠে বেশ কয়েক জনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দেখা গিয়েছে। এর পরেই তড়িঘড়ি গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে চাপড়া থানার পুলিশ। সকলকেই গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যেই এক জন হলেন পুলিশ মহলে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত সেই হাতকাটা মাসুদ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মাসুদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা রয়েছে। বোমা-বন্দুক মজুত রাখার পাশাপাশি, বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মেও জড়িত তিনি। তবে দীর্ঘ দিন ধরে ফেরার থাকার কারণে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। মাসুদ-গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে একাধিক ‘সুপারি কিলিং’-এর অভিযোগও রয়েছে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে খুন করে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে আত্মগোপন করে থাকত মাসুদ। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার নতুন অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে রাজ্যে ফিরে আসত সে।’’ পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মাসুদ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর দলের সুমির মণ্ডল, সাহাজামাল মণ্ডল, আলিম মণ্ডল, তাহের মণ্ডল (গাছা) এবং রবিউস মণ্ডল। ধৃতদের কাছ থেকে সেভেন এমএম পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি এবং আটটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।

ধৃতদের শনিবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) সঞ্জয়মীত কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং বোমা সমেত ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement