Khela Hobe Diwas

Khela Hobe Day: নিয়ম শিকেয়, ‘খেলা হবে’ দিনে জমায়েত

সরকারি অনুষ্ঠানের তুলনায় শাসক দলের কর্মসূচিতে ছিল অনেক বেশি মানুষের ভিড়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২১ ০৬:৩৬
খেলা হবে দিবসে তৃণমূলের তরফে ছোটদের নকআউট ফুটবল। দর্শকদের ভিড়ে করোনা বিধির বালাই নেই। সোমবার কল্যাণীতে।

খেলা হবে দিবসে তৃণমূলের তরফে ছোটদের নকআউট ফুটবল। দর্শকদের ভিড়ে করোনা বিধির বালাই নেই। সোমবার কল্যাণীতে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

সোমবার জেলার নানা প্রান্তে পালিত হল ‘খেলা হবে দিবস’। কোথাও সরকারি ভাবে, আবার কোথাও বা শাসক দলের তরফে দিনটি পালিত হয়। সরকারি কর্মসূচিতে সে ভাবে ভিড় না হলেও দলীয় কর্মসূচিতে অবশ্য যথেষ্ঠ ভিড় ছিল। তবে এ দিন উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল মাস্কবিহীন।

‘খেলা হবে দিবস’ পালনের জন্য জেলায় দিনভর উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এ দিন জেলার নানা প্রান্তে বিভিন্ন ক্লাবে ফুটবল বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি, আয়োজিত হয় প্রদর্শনী ফুটবল খেলাও। সেখানে অবশ্য খুব একটা জমায়েত দেখা যায়নি। সব জায়গাতেই স্থানীয় পদস্থ প্রশাসনিক কর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নবদ্বীপ পুরসভার উদ্যোগে বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থায় নথিভুক্ত ৩২টি ক্লাবকে এ দিন দু’টি করে ফুটবল দেওয়া হয়। উদ্বোধন করেন বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা। পরে নবদ্বীপ মিউনিসিপাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমি এবং নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যে সকল খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই করোনার টিকা নিয়েছেন শুধুমাত্র তাঁরাই এই প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন। অন্য দিকে, শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ায় ব্লক যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে সরকারি নথিভুক্ত ক্লাবগুলিকে ফুটবল দেওয়া হয়। পাশাপাশি, প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ফুলিয়ার সংহতি ফুটবল অ্যাকাডেমি ৪-০ গোলে হারিয়ে দেয় ফুলিয়া জাগরণী সঙ্ঘকে। শান্তিপুরের বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায়, ব্লক যুব কল্যাণ আধিকারিক নাজিরা খাতুন-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কালীগঞ্জে ব্লক যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে পানিঘাটা স্কুলের মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজিত হয়। কালীগঞ্জের বিডিও উৎপল দাস মুহুরি, বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, চাকদহ ব্লক যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এ দিন কামালপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠের মাঠে চাকদহ ভেটারেন্স ফুটবল ক্লাব অ্যাকাডেমির দু’টি দলকে নিয়ে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। চাকদহ ব্লকের ১৪৮টি ক্লাবকে ফুটবল দেওয়া হয়। তেহট্টের মেলার মাঠে যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ৫১টি ক্লাবকে ফুটবল দেওয়া হয়। সেখানে চারটি মহিলা ফুটবল দল নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। এই সব ম্যাচে সে ভাবে দর্শকদের ভিড় নজরে আসেনি। তবে অধিকাংশ দর্শকই ছিলেন মাস্কবিহীন।

আবার তৃণমূলের তরফেও কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় ‘খেলা হবে দিবস’ পালিত হয়েছে। সেখানে কয়েকটি দল নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শান্তিপুর ব্লকের গোবিন্দপুর, ঘোড়ালিয়া এলাকায় অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে, কালীগঞ্জ ব্লকের পানিঘাটায় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে, যুব তৃণমূল এবং টিএমসিপির উদ্যোগে তেহট্টের হাইস্কুল মাঠে তেহট্ট অঞ্চলের দল নিয়ে আট দলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চাকদহে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে রবি এবং সোমবার ক্যারাম এবং মহিলাদের লুডো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।

সরকারি অনুষ্ঠানের তুলনায় শাসক দলের কর্মসূচিতে ছিল অনেক বেশি মানুষের ভিড়। অনেক জায়গায় ভাল রকমের জমায়েত হয়েছে। করোনা বিধি মানার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে এ দিনের কর্মসূচিতে। অধিকাংশ দর্শকদের মুখে ছিল না মাস্ক। কারও কারও মাস্ক ঝুলেছে গলায় বা থুতনিতে। বেশির ভাগ জায়গায় মাঠে দর্শকদের জমায়েত হওয়ায় দূরত্ববিধি মানার ক্ষেত্রেও যথেষ্ঠ শিথিলতা দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, ‘‘সর্বত্র কোভিড বিধি মেনে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ ছিল। বিধি মানার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement