NIA

বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যুর তদন্তে এনআইএ

সূত্রের খবর, যে কোন বিস্ফোরণ জনিত ঘটনার তদন্ত করতে পারে এনআইএ। গোয়েন্দাদের এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, তাই তাঁরা তদন্তে এসেছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ০৯:২৭
 এনআইএ-র তদন্ত চলছে বেলডাঙার গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

এনআইএ-র তদন্ত চলছে বেলডাঙার গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

গত ১৭ জানুয়ারি সকেট বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। পরে ওই এলাকা থেকে ৭৫টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ- র গোয়েন্দারা সোমবার দুপুরে বেলডাঙার রামেশ্বরপুর গ্রামে এলেন। গোয়েন্দা সংস্থার দুই পদস্থ আধিকারিক ও বেলডাঙা থানার এক এসআই পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার ঘটনা স্থলে যান। ছিলেন বেলডাঙা থানার কয়েক জন পুলিশ কর্মী।

কিন্তু সকেট বোমা ফাটা বা সেই বোমা বানাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা জেলায় অনেক ঘটে। কিন্তু বেলডাঙার রামেশ্বরপুর গ্রামের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত কেন? এই প্রশ্নই উঠছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, যে কোন বিস্ফোরণ জনিত ঘটনার তদন্ত করতে পারে এনআইএ। গোয়েন্দাদের এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, তাই তাঁরা তদন্তে এসেছেন। একটি সূত্রের খবর রামেশ্বরপুরের ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনার সংযোগ থাকতে পারে। কোন বড় ষড়যন্ত্রের যোগসূত্রও থাকতে পারে। তবে সে সব এখনই খোলসা করছে না গোয়েন্দারা।

সোমবার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে এনআইএ-র আধিকারিকদের একজন হিন্দিতে বলেন, ‘‘এই নিয়ে কথা বলার ক্ষমতা আমাদের নেই। যাঁরা বলার তাঁরা বলতে পারবেন।’’

সোমবার গোয়েন্দারা প্রথমে রামেশ্বরপুর গ্রামে যায়। সেখানে রামেশ্বরপুর হাইস্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে কয়েকশো মিটার জমি অতিক্রম করে ঘটনা স্থলে যান। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিভিন্ন জমিতে গিয়ে দেখেন। তারপর ফিরে আসেন। পরে গাড়ি নিয়ে তাঁরা বোমা বিস্ফোরণ মৃত ইয়াসুদ্দিন শেখের (৫০) বাড়িতে যান। সেখানে মৃতের স্ত্রী আশরাফুন বিবির সঙ্গে কথা বলেন। ইয়াসুদ্দিন শেখ কী কাজ করতেন। এই প্রশ্ন করলে তার স্ত্রী উত্তর দেন। বলেন তিনি চাষ বাস করতেন। তাঁর ছেলেরা কেউ রাজমিস্ত্রি কেউ অন্য কাজ করেন।

পরে মৃতের স্ত্রীকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। গোয়েন্দারা আশরাফুন বিবির বাড়ি ঘুরে দেখেন। তাঁর বাড়ির ছাদে গিয়ে পুরো এলাকা দেখেন। গত জানুয়ারিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি ঘর উড়ে যায়। প্রচুর বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। তার পর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ১০ জনকে গ্রেফতার করে। তারা এখনও জেলে হেফাজতে রয়েছে। এনআইএ-র তদন্ত দেখতে গ্রামে ভিড় জমে।

আরও পড়ুন
Advertisement