—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়ার নদিয়ার বা়ড়িতে গেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেখছেন গোটা বিষয়টি। সে কারণেই তিনি বিষয়টিতে ‘আস্থা’ রাখছেন। তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিঁধতে ছাড়েননি নওশাদ। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী পড়ুয়াদের মধ্যে ‘অপরাধপ্রবণতা’ কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধী বিধায়ক।
যাদবপুরের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ‘রাজনীতি’ করার পাল্টা অভিযোগ তুলেছে শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রেজিস্টার উন্মাদের মতো কথা বলছেন নওশাদ। সারা ভারতে যত র্যাগিং হয়, তার শীর্ষে রয়েছে বিজেপিশাসিত রাজ্য। নওশাদের কথায় মৃত পড়ুয়ার পরিবারের লোকেরাও গুরুত্ব দিচ্ছে না।’’
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ তুলেছে মৃত পডুয়ার পরিবার। বুধবার মৃতের নদিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থ দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরা। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁদের কাছেও র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। পরে ব্রাত্য জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। দোষীরা কেউ ছাড় পাবেন না। তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নওশাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে হেতু দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই আমরা বিশ্বাস রাখছি।’’
দুপুরে মৃত পড়ুয়ার বগুলার বাড়িতে যান আইএসএফ বিধায়ক। পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের বাবা-মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেছেন তিনি। শেষ বার ছেলের সঙ্গে মায়ের ফোনে কী কথোপকথন হয়েছিল, জানতে চান তা। পড়ুয়ার মৃত্যুতে যাঁদের বিরুদ্ধে ‘জড়িত’ থাকার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের সম্পর্কেও খোঁজ নেন নওশাদ। পরিবারের কাছে বিধায়ক জানতে চেয়েছেন, রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং পুলিশি তদন্তে তারা সন্তুষ্ট কি না। আইনি সহায়তার প্রয়োজন কি না, জানতে চেয়েছেন সেই ব্যাপারেও। পরে মৃত পড়ুয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নওশাদ বলেন, ‘‘যাদবপুরে যারা অভিযুক্ত, তারা সকলেই মেধাবী। মেধাবী ছাত্রদের মধ্যে যে ভাবে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে, তাদের কারা ব্রেনওয়াশ করছে, সেটা সরকার খতিয়ে দেখুক। সব দায় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষামন্ত্রীর।’’
বাড়িতে নওশাদের আসা নিয়ে মৃত পড়ুয়ার মামা বলেন, ‘‘বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নওশাদবাবুও আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।’’