TMC

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হরিণঘাটা, মাথা ফাটল শাসকদলের নেতার

হরিণঘাটা ব্লকের ফতেপুর অঞ্চলে দলীয় কার্যালযয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয় পক্ষের ১২ জন নেতাকর্মী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ২৩:০২

নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অশান্ত নদিয়ার হরিণঘাটা। হরিণঘাটা ব্লকের ফতেপুর অঞ্চলে দলীয় কার্যালযয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয় পক্ষের ১২ জন নেতাকর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আওলাবক্স মণ্ডল এবং তৃণমূলের কিসান ক্ষেতমজুর সংগঠনের ব্লক সভাপতি দেবব্রত বসু। তাঁরা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাসের ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠী’র লোক বলেই পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে নদিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত পরিবহণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথকে সরিয়ে হরিণঘাটা ব্লকে দলের সভাপতি পদের দায়িত্ব পেয়েছেন নগরউখড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণচন্দ্র। নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার পাওয়ার পরেই তিনি কয়েক জন অঞ্চল সভাপতিকে বদলে দেন। তা নিয়ে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও বর্তমান ব্লক সভাপতি দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। তৃণমূল সূত্রের দাবি, হরিণঘাটা ব্লকের দলীয় কার্যালয়ে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করছিলেন ফতেপুর অঞ্চলের নতুন অঞ্চল সভাপতি শফিক মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধেই আওলাবক্সদের উপর মারধরে অভিযোগ উঠেছে। আওলাবক্সের দাবি, ‘‘আমি বাড়ি ফেরার সময় ঘিরে ধরে আমার উপরে আক্রমণ চালায় ব্লক সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাস এবং বর্তমান অঞ্চল সভাপতি শফিক মণ্ডলের নেতৃত্বে জনা পনেরো দুষ্কৃতী। বেধরক মারধর করে। মাথা ফাটিয়ে দেয়।’’ আওলাবক্স পরে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

অন্য দিকে, ব্লক সভাপতি দাবি, আওলাবক্স ও বেশ কয়েক জন কর্মী-সমর্থক তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছেন। নারায়ণচন্দ্র বলেন, ‘‘আওলা বক্সের নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতী দলীয় কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক চলাকালীন আক্রমণ চালিয়েছে। যারা আহত হয়েছে, তারা সবাই পরিচিত দুষ্কৃতী।’’

আরও পড়ুন
Advertisement