East Bengal

৭ কারণ: ফিটনেসের অভাব, মনোবল তলানিতে, তারকারা ম্লান, কেন ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল

টানা ছ’টি ম্যাচ হেরে দিকে দিকে সমালোচনার শিকার ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ক্লাব হোক বা নিজেদের সমর্থক, কারও থেকেই রেহাই পাচ্ছে না তারা। কী কারণে লাগাতার ব্যর্থ হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল?

Advertisement
অভীক রায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১১:২২
frustrated east bengal team

ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজ়ো (মাঝে) এবং বাকি ফুটবলারেরা। ছবি: পিটিআই

মঙ্গলবার আইএসএলে ওড়িশার কাছে ইস্টবেঙ্গলের হারের পর সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দেখা যায়। তার মধ্যে একটিতে লেখা ছিল, ‘ইস্টবেঙ্গলের মাথার উপরে হৃতিক রোশনের হাত রয়েছে’। আসলে হৃতিকের হাতে ছ’টি আঙুল এবং ইস্টবেঙ্গলের টানা ছ’টি হারের তুলনা টেনেই এমন টিপ্পনী কেটেছিলেন পড়শি ক্লাবের সমর্থকেরা। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা জবাব দেওয়ার জায়গা পাচ্ছেন না।

Advertisement

দেবেনই বা কী করে? টানা আটটি ম্যাচে (এই বছর ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে হার ধরে) হার যে তাঁদের আগে কোনও দিন দেখতে হয়নি। ক্লাবের ইতিহাসেই সেই নজির নেই। ভাল ফুটবলার সই, প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ, মরসুমের শুরুতে আগের কোচ কুয়াদ্রাতকে রেখে দিয়েও ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্টের ঘরে শূন্য। ইস্টবেঙ্গল কবে প্রথম জিতবে নয়, কবে অন্তত একটা ড্র করবে সেটা নিয়ে বাজি লড়া চলছে।

অথচ এই পরিস্থিতি কি হওয়ার ছিল? গত এক দশকে সবচেয়ে ভাল দল গড়েও কেন ইস্টবেঙ্গলকে এ রকম লজ্জার মুখে পড়তে হল? কোথায় গলদ? কাদের দোষ? ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার কারণ নিয়ে আলোচনা করল আনন্দবাজার অনলাইন।

Former East Bengal coach Carles Cuadrat

পদত্যাগী কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের প্রশিক্ষণে বার বার ব্যর্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ছবি: পিটিআই

গোটা দলের খারাপ ফিটনেস

চলতি মরসুমে সবার আগে অনুশীলন শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। মরসুম শুরুর প্রায় মাস দুয়েক আগে চালু হয়েছিল তাঁদের অনুশীলন। কিন্তু আইএসএলের প্রথম ছ’টি ম্যাচের প্রতিটিতেই দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের খারাপ ফিটনেসের নমুনা। বেশির ভাগ ফুটবলারই ৭০ মিনিট হয়ে গেলে দৌড়তে পারছেন না। কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। বল কাড়া বা একা বল নিয়ে দৌড়ে গিয়ে আক্রমণ তৈরি করা কোনওটাই চোখে পড়ছে না। প্রশ্ন উঠছে, এত দিন সময় পেয়েও তা হলে কী করলেন ইস্টবেঙ্গলের ফিটনেস কোচ? আঙুল উঠছে কার্লোস জিমেনেজ়‌ের দিকে যিনি কুয়াদ্রাতের জমানায় ফিটনেস কোচ ছিলেন। বিশ্বের কোনও ক্লাবেই আজ পর্যন্ত ফিটনেস কোচ হিসাবে সুনাম অর্জন করতে পারেননি জিমেনেজ়‌। তাঁর হাতেই দেওয়া হয়েছিল ফিটনেসের দায়িত্ব। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরীও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর প্রাক্তন দলের এই অবস্থা। বললেন, “দলটা তো ২৫-৩০ মিনিটের পরেই দাঁড়িয়ে পড়ছে। তা হলে পরের দিকে গোলটা আসবে কী করে? একটা দলকে ৯০ মিনিটই সচল থাকতে হবে। বিপক্ষ যদি বুঝে যায় আপনি ক্লান্ত, তখন ওরা শেষ করে দেবে। সেটাই হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে। কাদের ফিটনেস কোচ হিসাবে ধরে আনা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।”

East Bengal coach Oscar Bruzon

ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো। ছবি: পিটিআই

ফুটবলারদের মানসিকতা তলানিতে

ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের খেয়াল করলেই দেখা যাবে তাঁদের মধ্যে খেলার কোনও ইচ্ছা নেই। মাঠের বেশির ভাগ ফুটবলারদের মধ্যে দায়সারা গোছের মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। ম্যাচ জেতার জন্য যে খিদে, আগ্রহ এবং অদম্য জেদ দরকার, তা কারও মধ্যেই নেই। অনেক সময় সাফল্য পেলে ফুটবলারদের মধ্যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস চলে আসে। ইস্টবেঙ্গলের হয়েছে উল্টো। টানা হারতে হারতে ম্যাচ জেতার অনুপ্রেরণাই হারিয়ে ফেলেছেন ফুটবলারেরা। দলে কোনও নেতাও নেই যে তিনি খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলবেন। সেই প্রসঙ্গেই সমরেশ বলেছেন, “টানা হারতে হারতে যে কোনও দলের মানসিকতা তলানিতে থাকবে। তারা লড়াই করার সাহস পাবেই বা কী করে? কোনও অনুপ্রেরণা হাতের কাছে রয়েছে কি? আমাদের সময়েও এত ‘সুনাম’ অর্জন করতে পারিনি।”

সাধেই কি আর লাল-হলুদে মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ রাখার কথা চলছে। আগামী দিনে তা দেখতে পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই প্রসঙ্গে লাল-হলুদের নতুন কোচ ব্রুজ়‌ো বলেছিলেন, “আমি জানি না সে রকম কোচ দরকার কি না। তবে মানসিক দিকটা নিয়ে অনেক খাটতে হবে এটুকু বলতে পারি। মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ রাখা যায় কি না সেটা ঠিক করে দেখব। কখনও কোনও পেশাদার মানুষ এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন। আবার কখনও ফুটবলারেরা নিজেরাই নিজেদের ভুল খুঁজে বার করতে পারে। এটা ঠিক যে দলটার মধ্যে একটা সমস্যা রয়েছে। আমরা প্রচুর চাপ মাথায় নিয়ে খেলছি।”

তবে ডার্বিতে হারার পরে ঠিক উল্টো কথা বলেছিলেন ব্রুজো। তখন তাঁর মনে হয়েছিল, দলে অনেক ইতিবাচক দিক আছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে নাকি বোঝাপড়া রয়েছে। ফুটবলারদের মধ্যে তখন তিনি ইতিবাচক মানসিকতা লক্ষ করেছিলেন!

East Bengal team

ইস্টবেঙ্গল দল। ছবি: পিটিআই

প্রতি ম্যাচে গোল নষ্টের প্রবণতা

মানসিকতা অনেকটা তলানিতে থাকার কারণেই ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ডদের মধ্যে গোল নষ্টের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এমন নয় তাঁরা খুব খারাপ খেলছেন। গোটা ম্যাচে হয়তো অনেক আক্রমণ তৈরি হচ্ছে। তবে বিপক্ষের জালে কিছুতেই বল জড়াতে পারছেন না। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে সব। খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই। কে কাকে বল দেবেন, কোথায় দাঁড়াবেন, কে গোল করার জন্য প্রথম এগোবেন তাই বোঝা যাচ্ছে না খেলা দেখে। সহজ সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সব ঠিকঠাক থাকলে ইস্টবেঙ্গল জিতত। গোল নষ্টের প্রবণতায় তারা হারে।

কোচ থাকার সময় কুয়াদ্রাত বলেছিলেন, “এই নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমরা। এটা মেটাতে গেলে ফুটবলারদের সঠিক মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাদের ছেলেরা সব সময় সেটা পারছে না। এই ব্যাপারটা ওদের আরও ভাল ভাবে বোঝাতে হবে। তরুণ ফুটবলাররা গোলের সামনে গিয়ে এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে যে মাঝেমাঝে ফুটবলের সাধারণ জ্ঞান মনে থাকে না তাদের। ওদের আরও বোঝাতে ও শেখাতে হবে।” এমনকি ওড়িশা ম্যাচের আগে ব্রুজ়‌ো বলেছিলেন, “আমাদের ফুটবলারদের বিপক্ষকে খুব বেশি জায়গা দিলে চলবে না। খেলোয়াড়দের মাঝের দূরত্ব কমাতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আমাদের কাছে যে সুযোগগুলো আসবে সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। আমাদের পরিকল্পনাটাই ঠিকঠাক হচ্ছে না।”

যদিও ওড়িশা ম্যাচে ফের সুযোগ নষ্টের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। ম্যাচের পর ব্রুজ়‌ো আফসোসের সুরে বলেন, “খেলা পুরোপুরি আমাদের দখলে ছিল। তবে অনেক সুযোগ মিস করেছি। ওরা ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কাজ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। ওরা খেলার গতি কমিয়ে দিয়েছিল। আমাদের ধৈর্য হারানোর অপেক্ষা করছিল।”

রক্ষণের দৈন্যদশা কাটছেই না

লাল-হলুদের রক্ষণ মজবুত করতে এ বার নিয়ে আসা হয়েছে আনোয়ার আলি এবং হেক্টর ইয়ুস্তেকে। মোহনবাগানের হয়ে গত মরসুমে তাঁরা যতটা সফল ছিলেন এ বার ততটাই ব্যর্থ। দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে কোনও বোঝাপড়াই নেই। হিজাজি মাহেরের এতটাই খারাপ অবস্থা যে তাঁকে রিজ়‌ার্ভ বেঞ্চে রাখতে হচ্ছে। ওড়িশার বিরুদ্ধে তাঁকে ফেরানো হয়েছিল বটে। তবে ইস্টবেঙ্গল দু’টি গোলই খেয়েছে তাঁর দোষে। হিজাজির খেলায় শ্লথতা এসেছে। গত বারের ফর্মের ধারেকাছে নেই তিনি। প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওড়িশা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ১০-১৫ মিনিটে ভাল খেলেছে। ওই সময়েই গোল করা উচিত ছিল। তার পরে রক্ষণের বেআব্রু অবস্থা বেরিয়ে গিয়েছে। কোচ সবে আড়াই-তিন দিন এসেছেন। তার মধ্যে অলৌকিক কিছু করা সম্ভব নয়। এই দলটাই আনফিট।”

আনোয়ার এবং ইয়ুস্তেকেও চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। লাল-হলুদে সই করার জন্য আইনি-যুদ্ধের মাঝে রয়েছেন আনোয়ার। সেই ঘটনা তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলেছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। যদিও আনোয়ার প্রসঙ্গে অলোক বলেন, “আনোয়ার ভাল খেলেছে বলেই তো ওকে দলে নেওয়া হয়েছে। আমি জাতীয় দলেও ওর খেলা দেখেছি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ও ফর্মের ধারেকাছেই নেই।”

রক্ষণই যে মূল অসুখ, সেটা অবশ্য শুরুতেই ব্রুজোর বুঝতে অসুবিধে হয়নি। ডার্বি ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, “আমি দেখতে চেয়েছিলাম দল কতটা তৈরি। তাই ডাগআউটে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল যতগুলো ম্যাচ খেলেছে সব দেখেছি। চেষ্টা করেছি ভুলভ্রান্তি খোঁজার। আজও বুঝতে চাইছিলাম কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে। যা দেখলাম, আমার দলে অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। আগ্রাসন, তীব্রতার অভাব। দ্রুত বল হারিয়ে ফেলছি। খেলা বদলে দেওয়ার মোড় এলে সেটা কাজে লাগাতে পারছি না। রক্ষণ নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। প্রতি ম্যাচেই চার-পাঁচ গোলে জিতব সেটা হতে পারে না। রক্ষণ নিয়ে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের দল পাঁচ ম্যাচে ১১টা গোল খেয়েছে। সেটার দিকে তো নজর দিতে হবেই।”

ম্লান তারকা ফুটবলারেরা

ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য এ বার সেরা ফুটবলারদের সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গত বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, গত বারের সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট দেওয়া ফুটবলার তথা পঞ্জাব এফসি-র সাফল্যের মধ্যমণি মাদিহ তালালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া মিডফিল্ডে এসেছেন জিকসন সিংহ। আনোয়ার এবং ইয়ুস্তে তো রয়েছেনই। এত কিছু করেও সাফল্য পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। একমাত্র তালাল বাদে কেউ নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ডার্বিতে খারাপ গোল খেয়েছেন ইয়ুস্তে। দিয়ামানতাকোস সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।

কুয়াদ্রাতের দাবি ছিল, “আমরা ভবিষ্যতের জন্য দল গড়ছি। আমাদের দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে রয়েছে বিষ্ণু, সায়ন, আমনের মতো তরুণ। এই দল ভবিষ্যতের জন্য এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমাদের আশাবাদী হতে হবে।” যদিও আশা পূরণ হওয়ার আগে কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে।

কুয়াদ্রাতের ভুল পদক্ষেপ

যে ফুটবলারদের চেয়েছিলেন সবাইকেই পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে পারেননি আগের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। প্রথম তিনটি ম্যাচের পর তিনি কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তত ক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আগের মরসুমেও আইএসএলের দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি যে সব বিদেশিদের ‘বেছে’ নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মান দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা। এই মরসুমের শুরুতে সেই ভুল করেননি। তবে ‘আবদার’ মেনে কুয়াদ্রাতের পছন্দের ফুটবলারদের কেনা বা রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল ম্যানেজমেন্ট। তাতে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য তো বদলায়ইনি, উল্টে আরও লজ্জার সম্মুখীন হয়েছে তাঁরা। যদিও এ ক্ষেত্রে সমরেশ দোষ দিয়েছেন ‘এজেন্ট’দের। বলেছেন, “ফুটবল তো এখন এজেন্টরা চালায়। তারা ফুটবলারদের কোনও ক্লাবে গছিয়ে দিতে চায়। সেই ফুটবলারদের সঠিক ভাবে যাচাইও করা হয় না। এখন সব বুড়োহাবড়াদের নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের দিয়ে ভাল ফল হবে কী করে?”

মরসুমের মাঝেই কোচ বদল

প্রথম তিনটি ম্যাচে হারের পরেই ইস্তফা দেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর কোচিং দর্শন ছিল এক রকম। তখন থেকে দলের দায়িত্ব নেন বিনো জর্জ। তাঁর অধীনে জামশেদপুর ম্যাচে খেলে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগে পর্যন্ত বিনোই দায়িত্বে ছিলেন। ডার্বির দিন থেকে দায়িত্ব নিয়ে নেন অস্কার ব্রুজ়‌ো। পরে ওড়িশা ম্যাচেও তিনি কোচিং করিয়েছেন। ঘন ঘন কোচ বদলের ফলে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদেরও নতুন করে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। কোনও দলের পক্ষেই এত ঘন ঘন কোচ বদল সাফল্য নিয়ে আসতে পারে না। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement