Book Fair

বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রশ্ন বইমেলার স্থান নির্বাচনে 

চলতি বছরেও নদিয়া জেলা বইমেলা হতে চলেছে জেলা সদর কৃষ্ণনগরে। যা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বইপ্রেমীরা তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন, জেলা বইমেলা শুধুমাত্র জেলা সদর শহরেই কেন হবে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪১
বইপ্রেমীদের প্রশ্ন: প্রশ্ন, জেলা বইমেলা শুধুমাত্র জেলা সদর শহরেই কেন হবে?

বইপ্রেমীদের প্রশ্ন: প্রশ্ন, জেলা বইমেলা শুধুমাত্র জেলা সদর শহরেই কেন হবে? —প্রতীকী চিত্র।

জেলা বইমেলার চল্লিশ বছরের ইতিহাসে মাত্র দু’বার জেলা সদর থেকে সরিয়ে বইমেলা অন্যত্র হয়েছিল। চলতি বছরেও নদিয়া জেলা বইমেলা হতে চলেছে জেলা সদর কৃষ্ণনগরে। যা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন বইপ্রেমীরা তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন, জেলা বইমেলা শুধুমাত্র জেলা সদর শহরেই কেন হবে?

Advertisement

২০২৪-’২৫ অর্থ বর্ষে বইমেলার জন্য জেলাগুলির আর্থিক বরাদ্দ তিন লক্ষ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গত বছর বইমেলা করার জন্য রাজ্যের তরফে জেলাগুলিকে সাত লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও এ বছর দশ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সম্প্রতি, এক নির্দেশিকায় এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কোন জেলায় কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত বইমেলা চলবে, তারও একটি সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে বইমেলা সংক্রান্ত একগুচ্ছ শর্তাবলিও প্রকাশ করেছে গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতর। মেলায় বিপণির জন্য জন্য বর্গফুট পিছু পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মেলার দিনগুলিতে বিপণি খোলা থাকবে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।

সরকারি ভাবে নদিয়া জেলা বইমেলার জন্য ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪০ তম নদিয়া জেলা বইমেলা এ বছরও কৃষ্ণনগর শহরেই হচ্ছে। এর জন্য কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠও বুকিং করা হয়েছে। ২০২২ সালে অবশ্য জেলা বইমেলা শান্তিপুর শহরের লাইব্রেরি মাঠে হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে প্রথম বেসরকারি ভাবে জেলা বইমেলা শুরু হয়। ১৯৮৪-’৮৫ সাল থেকে তা সরকারি ভাবে হয়ে আসছে। ১৯৯৪ সালে নবম বার্ষিক জেলা বই মেলা হয়েছিল রানাঘাটে। ২০২২ দ্বিতীয়বারের জন্য মেলার স্থান পরিবর্তিত হয়ে শান্তিপুরে হয়। দু'বছর আগে বই মেলার স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি কৃষ্ণনাগরিকেরা। শেষে কৃষ্ণনগর পুরসভার পক্ষ থেকে পৃথক একটি বই মেলা করা হয়।

অন্য দিকে, জেলা বই মেলা জেলা সদর শহরেই কেন প্রতি বছর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলার অন্যান্য শহরের বইপ্রেমীদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, রানাঘাট, চাকদহ, নবদ্বীপ বা কল্যাণীর মতো শহরে কেন হবে না? বিষয়টি নিয়ে জেলা গ্রন্থাগারিক প্রবোধ মাহাত বলেন, "জেলা বইমেলা কোথায় হবে তা লোকাল লাইব্রেরি অথরিটি ঠিক করে। এর আগে শান্তিপুর শহরে হয়েছিল। হয়তো আগামী দিনেও জেলার অন্য শহরে এই বইমেলা হবে।"

রাজ্যজুড়ে কর্মীর অভাবে ধুঁকছে গ্রন্থাগারগুলি। এই পরিস্থিতিতে বইমেলার প্রাসঙ্গিকতা ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রন্থাগার আন্দোলনের প্রবীণ নেতা তথা জনসাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, "মেলার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক মননের প্রসার, বিনিময় যেমন হয়। তেমনি বইয়ের কেনাবেচা আর গ্রন্থাগারের সঙ্গে গ্রামীণ স্তর থেকে জেলা স্তরে চিন্তার সমন্বয় ঘটে।" তাঁর কথায়, ‘‘বহু গ্রন্থাগার বন্ধ কর্মীর অভাবে। অবিলম্বে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন।"

Advertisement
আরও পড়ুন