প্রতীকী ছবি।
পুজোর দিনগুলিতে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতে কোনওরকম নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে তার জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সীমান্তের থানার পুলিশ কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
কিছু দিন আগে হোগলবেড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সেই ঘটনার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিএসএফ ও পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিএসএফের ১৪১ ব্যাটেলিয়ানের তরফ থেকে এই অনুপ্রবেশের বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়। তবে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করার জন্য পুলিশ বিস্তারিত তথ্য ও সিসিটিভির ফুটেজ চেয়েছে। বিএসএফের থেকে ঘটনাটি জানার পর আশপাশের থানা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। প্রথমের দিকে ঘটনার কথা চাপা থাকলেও পরে তা প্রকাশ্যে এসে যায়।
বিএসএফ জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় দিন-রাত জওয়ানেরা টহল দেন। এরই মধ্যে গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর তারিখের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ হয়। সেখানে দেখা যায়, সে দিন রাতে কাছারিপাড়ার পদ্মা নদী সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে এক-দু’জন করে পর-পর ১৯ জন বাংলাদেশি ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। এর পর তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিএসএফের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সীমান্ত-লাগোয়া এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় পাট, কলা জাতীয় ফসল চাষ করার জন্য তাদের সীমান্তে নজরদারিতে সমস্যায় পড়তে হয়। বড় গাছ ও তার ফলের জন্য বাংলাদেশের দিক থেকে কোনও মানুষ এদিকে এলে চটজলদি বোঝা যায় না।
যদিও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সাহায্য নিয়ে বেশ কিছু তথ্য বিএসএফের হাতে এসেছে বল জানা গিয়েছে। সে দিনের অনুপ্রবেশকারীদের কয়েক জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশে কোনও অসামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন না। আর্থিক অনটনের কারণে দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করার জন্য তাঁরা ভারতে ঢুকেছেন। তাঁদের খোঁজ চলছে। তবে এই ঘটনা ছাড়া বিগত দুই বছর এই এলাকা দিয়ে তেমন কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি বলে বিএসএফের দাবি। উল্টে পাচারকারীদের ধাওয়া করে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা, দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
তেহট্টের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ঘটনার কথা বিএসএফের কাছ থেকে জানার পর থেকে এলাকার সমস্ত থানা গুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে পাকড়াও করতে পুলিশ বিভিন্ন সূত্র ধরে খোঁজখবর চালিয়ে যাচ্ছে। পুজোর ক’টা দিন সীমান্ত যাতে কোনও নাশকতামূলক ঘটনা না-ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’’