—প্রতীকী চিত্র।
গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ মুর্শিদাবাদ জেলায়। যার জেরে অনলাইনে যাবতীয় পরিষেবা যেমন বন্ধ রয়েছে, তেমনই অনলাইনে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। তাতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, এখন বেচাকেনা শেষে একটা বড় অংশ অনলাইনে লেনদেন হয়। কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনলাইন লেনদেন বন্ধ রয়েছে। তাতে জেলায় ৩৫-৪০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে (সেল ডাউন)।
শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কোম্পানিকে অনলাইনে টাকা পাঠাতে না পারায় কোম্পানি জিনিসপত্রের অর্ডার যেমন নিচ্ছে না, তেমনই জিনিসপত্র সরবরাহ করছে না। ফলে শিশুদের খাদ্য (বেবিফুড) সহ নানা জিনিসপত্রের জোগান কমে গিয়েছে। এ রকম চলতে থাকলে বাজারে জিনিসপত্রের টান দেখা দিতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।
তবে ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের শাখায় কাজকর্ম স্বাভাবিক হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা তাঁরা জেনেছেন। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে আজ শনিবার সকাল ৮ টা থেকে জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
মুর্শিদাবাদের লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সানি কুমার বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের যাবতীয় পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে পারছেন, তুলতে পারছেন। এটিএম পরিষেবাও সচল রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আরটিজিএস থেকে শুরু করে সব পরিষেবা সচল রয়েছে।’’ সানি কুমার আরও বলেন, ‘‘তবে ইন্টারনেট না থাকলে নেট ব্যাঙ্কিং, ইউপিআই পে’ তো গ্রাহকেরা চালু করতে পারবেন না। তাঁরা ব্যাঙ্কের শাখায় গেলে টাকা পাঠানো, জমা দেওয়া সব কিছু করতে পারছেন।’’
মুর্শিদাবাদের বিড়ি মালিক সংগঠনের সম্পাদক রাজকুমার জৈন বলেন, ‘‘ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় আমাদের দৈনন্দিনের কাজে প্রভাব পড়েছে। রিপোর্ট আসছেন না। অনলাইনের যাবতীয় কাজ থমকে। অনেকে জিএসটি রিটার্ন ফাইল করতে পারেননি। এ ভাবে চলতে থাকলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। শুনছি কাল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তার পরে কী হবে জানি না।’’ মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখর মারুঠি বলেন, ‘‘কিছু কোম্পানি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা নেয়। আবার কিছু কোম্পানি ব্যাঙ্ক নয়, অনলাইনে টাকা নেয়। ফলে অনেকে অনলাইনে কোম্পানিকে টাকা পাঠাতে পারছেন না। যার জেরে জিনিসপত্রের অর্ডার করা যাচ্ছে না। এর ফলে বাজারে সব ধরনের জিনিসপত্রের জোগান কমেছে। এমন চলতে থাকলে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে।’’