POCSO Case

কিশোরীকে ধর্ষণ, রানাঘাটে গ্রেফতার যুবক, অভিযুক্তের দাবি, ‘প্রেমিকাকে একটা চুমু খেয়েছিলাম শুধু’!

ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। যদিও আদালতে তোলা হলে তিনি দাবি করেন ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। ওই কিশোরী তাঁর প্রেমিকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৮
Arrest

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত যুবককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। রানাঘাট পুলিশ জেলার তাহেরপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। যদিও আদালতে হাজির করানো হলে অভিযুক্ত দাবি করেন, ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। তিনি জানান, ওই কিশোরী তাঁর প্রেমিকা। তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তাহেরপুর থানা এলাকায় অভিযুক্ত এবং ‘নির্যাতিতা’র বাড়ি। সোমবার বিষয়টি জানতে পারার পর মঙ্গলবার তাহেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে শুরু হয় তৎপরতা। বুধবার রাতে যুবককে পাকড়াও করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হয় অভিযুক্তকে। সেখানে কিশোরীকে নিজের প্রেমিকা বলে দাবি করেন অভিযুক্ত। যুবকের দাবি অবশ্য মানতে নারাজ নির্যাতিতার পরিবার। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।’’

ওই মহিলার দাবি, মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং মাঝেমধ্যেই তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন যুবক। তিনি বলেন, ‘‘ছেলেটি মাঝেমধ্যেই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি যে করেছে, তার জন্য উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’ অন্য দিকে ধৃত যুবকের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করছে ‘প্রেমিকা’র পরিবার। তিনি বলেন, ‘‘ওর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। শুধু একটা চুমু খেয়েছিলাম। তাতেই এত বড় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।’’ যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারক অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ‘নির্যাতিতা’র পরিবার চাইছেন দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হোক।

Advertisement
আরও পড়ুন