শোকগ্রস্ত মৃতদের আত্মীয়রা। নিজস্ব চিত্র।
বেসরকারি ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে বাইক কেনার জন্য ধার নিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের এক ব্যক্তি। কিন্তু কিস্তির টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে এসে চাপ দিতে থাকে ওই সংস্থার কর্মীরা। সেই মানসিক চাপে মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী। ওই সংস্থা কর্মীরা টাকা আদায়ের জন্য বাড়ির সামনে বসেছিল বলেও অভিযোগ তাঁর।
ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করা ওই ব্যক্তির নাম সাধন সিংহ (৪০)। পেশায় কলের মিস্ত্রি ছিলেন তিনি। থাকতেন সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত জিয়ক কুণ্ডু গ্রামে।
আত্মহত্যাকারীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে কিস্তিতে বাইক কিনেছিলেন সাধন সিংহ। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে শোধ দিতে হত তাঁকে। কিন্তু লকডাউনের কারণে রোজগার ধাক্কা খায় সাধনের। সে জন্য গত দু’মাস সেই লোনের কিস্তি শোধ করতে পারেননি তিনি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল থেকে টাকার জন্য বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে ঋণপ্রদানকারী সংস্থার দুই কর্মী। কয়েকদিন অপেক্ষা করার কথা বলা হলেও ওই কর্মীরা শোনেননি বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের স্ত্রী মামনি সিংহ। এর পরই সিঁড়ির ঘরে গিয়ে গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে সাধন আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়। অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে।