নাটকের একটি মুহূর্ত। কান্দিতে। নিজস্ব চিত্র।
কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই প্রতিদিন নাটক দেখতে ভিড় করছেন কান্দির বাসিন্দারা। পুর এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের গ্রাম থেকেই প্রতিদিন দর্শক আসছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে কান্দির ‘ঝড়’ নাট্যগোষ্ঠীর উদ্যোগে নাট্যোৎসব শুরু হয়েছে কান্দি পুরসভা সংলগ্ন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী অডিটোরিয়ামে। ওই সংস্থার কর্তারা জানান, এ বার নাট্যোৎসবের ২৭ বছর পূর্তি। পাঁচ দিন ধরে ওই উৎসব চলবে। শেষ হবে কাল রবিবার। এ দিনও নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। এক বাসিন্দা সমীর রায় বলেন, “কান্দিতে এমনিতেই সংস্কৃতির চর্চা হয়। নাটকের উৎসব বছরে একবারই হয়। খোলা মঞ্চে নাটক দেখতে ভাল লাগে।’’ প্রথম দিন উত্তরপাড়ার মাখলার ‘ঊহিনী’ নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘নিরস্ত্র’ ও ‘সারা রাত্তির’ নামে দু’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল।
দ্বিতীয় দিন ওই মঞ্চে কলকাতার শ্যামবাজারের নাট্যচর্চা কেন্দ্রের পরিচালনায় নাটক ‘দায়ভার’ ও নাটক ‘দুষ্টু কথা’ মঞ্চস্থ হয়। তৃতীয় দিন চন্দননগরের রাঙাপীঠ নাট্যগোষ্ঠীর পরিচালনায় নাটক ‘জঙ্গলের দিন রাতের জঙ্গল’ ও ‘স্বীকারোক্তি’ নামে দু’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। চতুর্থ দিন কলকাতার বরাহনগরের রঙ্গবিন্দু নাট্যগোষ্ঠীর পরিচালনায় ‘শেতলার দায়’ ও ‘এই শহরে কোনও চোর নেই’ নাটক দু’টি মঞ্চস্থ হবে। পঞ্চম তথা শেষ দিন কলকাতার সমীক্ষণ নাট্য গোষ্ঠীর পরিচালনায় ‘এবং গঙ্গারাম’ মঞ্চস্থ হবে। উদ্যোক্তারা জানান, অন্য বছর টানা এক সপ্তাহ ধরে ওই নাট্যোৎসব হয়েছিল। এ বার
দিন কমেছে।
এ দিন আয়োজক সংস্থার তরফে পঞ্চানন দাস ও দিলীপ চক্রবর্ত্তী বলেন, “একটা সময় নাট্যোৎসবে দর্শকাসনে গুটিকয়েক মানুষ থাকতেন। এখন এটা সকলের উৎসব হয়ে উঠেছে। কোন নাটক কবে হবে, তা জানার আগ্রহ সকলেরই। মানুষ নাটক নিয়ে রোজই খোঁজ নিচ্ছেন। এটা থেকেই বোঝাই যাচ্ছে, নাটক নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। নাট্যপ্রেমীরা ভাল ভাল নাটক আরও আরও বেশি করে দেখতে চান। এটাই এই উৎসবের
বড় প্রাপ্তি।”