Leopard skin

চিতাবাঘের চামড়া পাচার করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদে ধৃত তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী এবং আত্মীয়

গোপন সূত্রে লেপার্ডের চামড়া পাচারের খবর পান বনকর্তারা। সেই অনুযায়ী ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের ফোন করেন বনকর্তারা। সেই ফাঁদে পা দিয়েই শেষ পর্যন্ত চিতাবাঘের চামড়া-সহ গ্রেফতার দু’জন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
লালবাগ শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৪ ১২:৪৬
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

মুর্শিদাবাদের লালবাগ থেকে চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার। গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং তাঁর এক আত্মীয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বন দফতর এবং ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো।

Advertisement

গোপন সূত্রে বন দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে চিতাবাঘের চামড়া পাচারের খবর ছিল। সেই মতো প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ক্রেতা সেজে লেপার্ডের চামড়া কিনতে পাচারকারীদের মোটা অঙ্কের টোপ দেন তিন গোয়েন্দা। সেই ফাঁদে পা দেন পাচারকারীরা। এর পর, লালবাগের মতিঝিল পেট্রল পাম্পের কাছে একটি হোটেলে হানা দিয়ে উদ্ধার করা হয় কয়েক মিটার লম্বা পূর্ণবয়স্ক একটি লেপার্ডের চামড়া। হাতেনাতে দু’জনকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের নাম সাবিরুল ইসলাম ও মাশারুল মণ্ডল। সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনেই মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার গুধিয়া অঞ্চলে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। ধৃত সাবিরুল তেতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। অপর জন মাশারুল সম্পর্কে সাবিরুলের ভাই।

হোটেলে লেপার্ডের চামড়া-সহ ধরা পড়া ওই দু’জনকে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বন দফতর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডের চামড়া নিয়ে আনা হয়েছিল, সেই চামড়া কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে সব বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে পুলিশ। বন দফতরের তরফেও এই ঘটনার পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement