Demand

রেলগেটে তীব্র যানজট, উঠছে উড়ালপথের দাবি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর শাখার ওই লাইনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বহু ট্রেন যাতায়াত করে। যে কারণে অল্প সময় অন্তর রেলগেট বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement
অমিত মণ্ডল
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৪
কল্যাণীর ৪২ নম্বর রেলগেটে গেট পড়ায় সৃষ্টি দীর্ঘ যানজট। নদীয়ার কল্যাণীতে।

কল্যাণীর ৪২ নম্বর রেলগেটে গেট পড়ায় সৃষ্টি দীর্ঘ যানজট। নদীয়ার কল্যাণীতে। —নিজস্ব চিত্র।

আপ ও ডাউনে ঘন ঘন ট্রেন যাতায়াত করে। সেই মতো কল্যাণীর ৪২ নম্বর রেলগেটও অল্প সময় অন্তর বন্ধ রাখতে হয়। তাতে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়েরা, নিত্যযাত্রী ও জরুরি কাজে আসা লোকজন। দাবি উঠছে উড়ালপুলের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর শাখার ওই লাইনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বহু ট্রেন যাতায়াত করে। যে কারণে অল্প সময় অন্তর রেলগেট বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিনই ওই রেলগেটের সামনে বহু মানুষকে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়৷ যার ফলে যাতায়াতে দেরি হয়। তাঁদের দাবি, যানজট এড়াতে রেলগেটের কাছে উড়ালপথ তৈরি করা হোক।

রেলগেটের এক পারে রয়েছে ট্রিপল আইটি, জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহকুমা আদালত, জাতীয় স্তরের স্টেডিয়াম, রানাঘাট জেলা পুলিসের সদর দফতর সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং অপর প্রান্তে রয়েছে এমস হাসপাতাল। আবার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে কল্যাণী শহরে ঢুকতে গেলে ৪২ নম্বর রেলগেট পেরোতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, কল্যাণী শহর থেকে এমসে যেতে করতে যেমন ওই রেলগেট পার হতে হয়, তেমনই নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও মুর্শিদাবাদ থেকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষ জনকেও ওই রেলগেট পেরোতে হয়। এ ছাড়াও নিত্যদিন প্রচুর অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াত করে ওই রেলগেট দিয়ে। অন্য দিকে গয়েশপুর, আনন্দনগর, সগুনা থেকে নিত্যদিন বহু মানুষ কাজের খোঁজে ওই রেলগেট পার হয়ে কল্যাণী শহরে আসেন। তাঁদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সকলের দাবি, ওই রেলগেটের উপর দিয়ে যদি একটি উড়ালপথ নির্মাণ করা যায় তা হলে যানজট এড়ানো সম্ভব হবে।

সগুনার বাসিন্দা অনিমেষ দত্ত বলেন, ‘‘প্রতিদিন স্কুল বা অফিসে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। গেট প্রায়ই বন্ধ থাকে। বিকল্প রাস্তা বা উড়ালপথ তৈরি না-করলে সমস্যার সমাধান হবে না।’’ এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলেন, ‘‘এক ব্যক্তিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রেলগেট বন্ধ থাকায় দেরি হয়েছিল। এটি জীবন-মরণ সমস্যায় পরিণত হতে পারত।’’ উড়ালপথ নির্মাণের বিষয়ে নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘ওই রেলগেটে উড়ালপথ করতে হলে রাজ্যের জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি রয়েছে। বর্তমানে তা কী অবস্থায় রয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন