কান্দি ব্লকের দোহালিয়া কালীবাড়ি একহাজার বছর ছুঁতে চলেছে নিজস্ব চিত্র।
কথিত আছে রাজা বল্লাল সেনের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কান্দি দোহালিয়া কালীবাড়ি। মা এখানে বাঘের রূপে পূজিত হন। দুর্গাপুজোর পরে চতুর্দশীর দিনে হয় সেই ‘ব্যাঘ্রকালী’র পুজো।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাই ভক্তদের ভিড় ছিল দোহালিয়া কালীবাড়িতে। চতুর্দশী উপলক্ষে কান্দি দোহালিয়া কালী মন্দিরের পাশে বসেছে মেলা। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে বিধি মেনেই এ বছর পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
কথিত আছে বল্লাল সেনের আমলে কোনও এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী নাগাভূমি থেকে নদীপথে ফেরার সময় এখানে বসে তপ্যাসা করছিলেন। তখন তপ্যাসা চলাকালীন বিভিন্ন ভাবে তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু তপস্যা শেষে ব্যাঘ্র রূপে মা দক্ষিণাকালী শিলামূর্তিতে আবির্ভূত হন। সেই থেকে এই পুজো হয়ে আসছে।
জনশ্রুতি এক দৃষ্টিহীন ভক্ত এই কালীবাড়ির পাশের পুকুরের জলে ছোঁয়ায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিলেন। এই মন্দিরের এমনই মাহাত্ম্য যে কান্দি দোহালিয়া গ্রামে অমাবস্যাতেও অন্য কোনও কালীপুজো হয় না।