প্রচারের মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। ছবি: জীবন সরকার
কে বলবে এই সেই ব্যক্তি, যিনি মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই ভোটে লড়বেন না বলে পণ নিয়েছিলেন? তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান প্রচারের মঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
৭০টি বুথ দখল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে শুক্রবার প্রকাশ্য সভায় অভিযোগ তুললেন শমসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। তাঁর কথায়, “ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছে বুথ দখলের জন্য। ৭০টি বুথ দখল করে যাঁরা মানুষের ভোট লুঠ করতে চায় তাঁদের রুখুন। নির্বাচন কমিশনের লোক সভায় আছেন। তাঁরা ব্যবস্থা নিন। জইদুরের দাবি, সমস্ত বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করুন নির্বাচন কমিশন।’’
এই প্রথম শমসেরগঞ্জের বুকে প্রথম নির্বাচনী সভা করলেন জইদুর। সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও অধীর চৌধুরী। কিন্তু এদিন বোগদাদনগরের সভায় সব আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে ওঠেন প্রার্থী জইদুর। দীর্ঘ দিন তার ভোটে প্রার্থী হওয়া টানাপোড়েন চলছিল। কিন্তু এই প্রথম তিনি মঞ্চে উঠে তার ক্ষোভের কথা উগড়ে দিলেন তাই নয়, কার্যত শমসেরগঞ্জকে কলুষমুক্ত করার ডাক দিলেন তিনি। তার বড় ভাই খলিলুর রহমান তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তবু তিনি কেন কংগ্রেসের প্রতীকে ভোটে দাঁড়ালেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শমসেরগঞ্জের অরাজকতার প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এদিন জইদুর। তিনি বলেন, “যার একটা ভাঙা মোটর বাইক ছাড়া কিছু ছিল না, চটি ফিতে কেনার পয়সা ছিল না, এই ভাবে টাকা তুলে ৫ বছরে সে ৫ খানা বাড়ির মালিক হয়েছে। কী করে এত জমি, এত গাড়ি কিনলেন তিনি? আমি তৃণমূলকে খারাপ বলি না। কিন্তু দলকে সামনে রেখে যারা কাটমানি খায়, বালি মানি খায়, টোটোর কাছ থেকে পয়সা তোলে, লাদেনের কাছ থেকে পয়সা তোলে তাদের বিরুদ্ধে শমসেরগঞ্জের মানুষ রুখে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে ? কেন তাদের ভয় পেতে হবে ? কেন তারা মুখ খুললে মাদক মামলায় জেলে পাঠানোর ভয় দেখানো হবে?’’
তৃণমূলের জঙ্গিপুর জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান অবশ্য বলছেন, “আমি এ সব নিয়ে কোনও কথা বলব না। শমসেরগঞ্জে কাটমানি যারা খেয়েছেন তাঁরাই এর উত্তর দিতে পারবেন।’’