Death

‘ওকে বাঁচিয়ে দিন’, হাত কেটে ফেলা প্রেমিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে হৃদ্‌রোগে মৃত্যু তরুণের!

মৃতের বন্ধুরা জানাচ্ছেন, ওই যুগলের বেশ কিছু দিনের সম্পর্ক ছিল। অর্জুন পড়াশোনা করতেন। তাঁর প্রেমিকাও আইনের ছাত্রী। তবে বেশ কিছু দিন দু’জনের বনিবনা হচ্ছিল না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৫

—প্রতীকী চিত্র।

প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে নিজের হাত কেটে ফেলেছিলেন তরুণী। তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রেমিক। প্রেমিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবক। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও মারা যান তিনি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জগৎপুরী এলাকায়। চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছরের ওই যুবকের। তবে তাঁর প্রেমিকা চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।

Advertisement

বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ, মৃত তরুণের নাম অর্জুন। দিল্লির চাঁদনিচক পার্ক এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে প্রেমিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় অর্জুনের। তার পর যে যার বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি গিয়ে নিজের হাত কেটে ফেলেন অর্জুনের প্রেমিকা। তার পর নিজের রক্তাক্ত হাতের ভিডিয়ো করে হোয়াট্‌সঅ্যাপে পাঠান প্রেমিককে। ওই ভিডিয়ো দেখে চমকে যান তরুণ। সঙ্গে সঙ্গে প্রেমিকার মাকে ফোন করে পুরো ঘটনার কথা বলেন। সময় নষ্ট না করে পড়িমরি করে প্রেমিকার বাড়িও ছোটেন। প্রেমিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত পৌনে ৩টে নাগাদ গুরু তেজ বাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যান অর্জুন। হাসপাতালে ঢুকেই এক জন নার্সকে সংক্ষেপে পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে তাড়াতাড়ি প্রেমিকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, নার্সের সঙ্গে প্রায় কাঁদতে কাঁদতে কথা বলতে বলতে ওই তরুণ এক বার প্রেমিকার হাতের দিকে তাকান। তার পরেই হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে যান অর্জুন। তরুণীর পাশাপাশি তাঁর প্রেমিকেরও তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অর্জুনকে বাঁচানো যায়নি। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে দু’জনের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যান। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় অর্জুনে দেহ।

মৃতের বন্ধুরা জানাচ্ছেন, ওই যুগলের বেশ কিছু দিনের সম্পর্ক ছিল। অর্জুন পড়াশোনা করতেন। তাঁর প্রেমিকাও আইনের ছাত্রী। তবে বেশ কিছু দিন দু’জনের বনিবনা হচ্ছিল না। কোনও একটি বিষয়ে শুক্রবার রাতে দু’জনের কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় অর্জুনের এক আত্মীয় নাকি ওই তরুণীকে বকাবকি করেন। অপমানিত বোধ করে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তরুণী। তার পরেই নিজের হাত কেটে ফেলেন তিনি। মৃতের এক বন্ধুর দাবি, ফোনে তাঁর সঙ্গেই শেষ কথা হয় অর্জুনের। ওই যুবকের কথায়, ‘‘ফোন করে আমায় বলেছিল, ‘প্লিজ ওকে বাঁচিয়ে নিস। কিছু একটা কর...’ তার পর ফোনটা কেটে যায়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement