Humayun Kabir

হুমায়ুন ক্ষমা চান, দাবি উঠল

শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইএমএ-র করা এফআইএর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হুমায়ুন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘যত খুশি চিঠি দিক। ওঁর চিঠি দেওয়ার অধিকার আছে।’’

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৩
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।

ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ জানাল ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে’র (আইএমএ) বহরমপুর শাখা। রবিবার ওই শাখার সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য দেশের প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এবং একাধিক জায়গায় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। এই আবহে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স ফোরাম’ এ দিন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, হুমায়ুন নিশঃর্তে ক্ষমা না চাইলে তারা বৃহত্তর
আন্দোলনে নামবে।

Advertisement

শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইএমএ-র করা এফআইএর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন হুমায়ুন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘যত খুশি চিঠি দিক। ওঁর চিঠি দেওয়ার অধিকার আছে।’’ সুপ্রিম কোর্ট, সংবিধান ও আইনকে সম্মান করার কথাও তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে। অবশ্য তারপরই সুর চড়িয়ে মনোচিকিৎসক রঞ্জনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তিনি। হুমায়ুন বলেন, ‘‘তিনি (রঞ্জন) শাসক দলের স্তাবকতা করে ১৫ বছর ধরে এখানে (মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল) ছিলেন। ২০২৪ সালে বাঁকুড়ায় বদলি হয়েছেন। এখনও বহরমপুরে কী করছেন?’’ রঞ্জন বলেন, ‘‘আমি আগেই বহরমপুর ছাড়তে চাইলেও সরকার আমাকে রেখে দিয়েছিল। আমার বহরমপুরে যাওয়ার অধিকার আছে। আমি এখনও আইএমএ-র বহরমপুর শাখার সম্পাদক। শীঘ্রই পদ ছাড়ব।’’ গত ১১ সেপ্টেম্বর সেই সময় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমাযুন কার্যত হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার দু’দিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আইএমএ-র বহরমপুর শাখা মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপারকে স্মারকলিপি দেয়। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক দেবাংশু ঘোষ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করে। শনিবার তা নিয়ে পাল্টা সুর চড়ান তৃণমূল বিধায়ক। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা রাজ্য সরকার বললেও শাসক দলের এক বিধায়ক চিকিৎসকদের ক্রমাগত হুমকি
দিয়ে চলেছেন।

এ দিন ফোনে হুমায়ুন বলেন, ‘‘কথা বলার জন্য আমার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। আমি বিধানসভার বাইরে কথা বললাম। তার প্রেক্ষিতে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ চক্রবর্তী, সৌগত রায় এবং উদয়ন গুহরাও কথা বলেন। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হল না। কলকাতায় যখন আমি কথা বললাম, তখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারতেন। তখন প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে কিছু মনে করতাম না।’’ হুমায়ুন জানান, এই জেলার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাইয়ে দিতে তিনি যা
করার করবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement