Awas Yojana

আবাসের প্রাথমিক তালিকায় বাদ পড়ল ৩০ শতাংশ

প্রাথমিক সমীক্ষার পরে যোগ্য উপভোক্তাদের তালিকা বুধবার প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৩

— প্রতীকী চিত্র।

আবাস যোজনা প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ উপভোক্তা যোগ্য হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক সমীক্ষায় সেই তথ্য উঠে এসেছে। জেলার শহর ঘেঁষা কিছু কিছু ব্লকে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি আবাস উপভোক্তার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। প্রাথমিক সমীক্ষার পরে যোগ্য উপভোক্তাদের তালিকা বুধবার প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

শুধু তাই নয়, জেলার প্রতিটি বিডিও অফিসের নোটিস বোর্ডে সেই তালিকা টাঙানো হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই তালিকা দেখে বাসিন্দারা তালিকায় থাকা নামের বিষয়ে দাবি / আপত্তি (ক্লেম/অবজেকশন) জানাতে পারেন। তালিকায় থাকা যে সব উপভোক্তার বিষয়ে অভিযোগ আসবে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পুনরায় সমীক্ষা করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) মহম্মদ সামসুর রহমান বলেন, ‘‘বুধবার আবাস প্রকল্পে বাড়ি প্রাপকদের নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা প্রতিটি বিডিও অফিসের নোটিস বোর্ডে টাঙানো হয়েছে। সেই তালিকা দেখে জনগণ আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি / আপত্তি জানাতে পারেন। সেই সব দাবি এবং আপত্তির তদন্ত করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০২২ সালে বাংলা আবাসের জন্য একটি সমীক্ষা হয়েছিল। সমীক্ষা করে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের জন্য টাকা বরাদ্দ করেনি। এ ছাড়া সে সময় বাড়ি পাওয়ার স্থায়ী অপেক্ষামাণ তালিকায় অনেকেই ছিলেন। সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদের ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৮৬ জন মানুষের নাম বাড়ি প্রাপকের তালিকায় ছিল।

অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত জেলার ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৯৫ জন উপভোক্তার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে প্রায় ৭০.১০ শতাংশ যোগ্য বলে উঠে এসেছে। প্রায় চার হাজার উপভোক্তা নিষ্ক্রীয় রয়েছে। ২৩ হাজার ৭৯১ জন উপভোক্তার সমীক্ষার কাজ চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ডোমকল, বহরমপুর এবং বেলডাঙা ব্লক এলাকায় উপভোক্তাদের প্রায় ৫০ শতাংশের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। আবার খড়গ্রামের মতো ব্লকে বহু গরিব মানুষের অনেক কাঁচা বাড়ি রয়েছে। এ রকম কিছু ব্লকে বাড়ি প্রাপকের তালিকা থেকে খুব কম নাম বাদ গিয়েছে। সার্বিক ভাবে জেলায় ৩০ শতাংশ উপভোক্তার নাম প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তালিকায় থাকা কোনও উপভোক্তা অযোগ্য বলে অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বিডিও অফিসের নোটিশ বোর্ডে প্রাথমিক তালিক দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement