— প্রতীকী চিত্র।
দলের একাধিক নেতার মধ্যে ‘আপত্তিকর’ শব্দ ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের অডিয়ো সামনে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সমাজমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওই অডিয়োতে কল্যাণী পুরসভার পুরপ্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী ও বর্ষীয়ান পুরপ্রতিনিধি বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-এর কল্যাণী শহর কমিটির সভাপতি সুব্রত বিশ্বাসের উত্তপ্ত কথা কাটাকাটির পাশাপাশি ‘অশালীন’ ও ‘আপত্তিকর’ শব্দ বিনিময় হতে শোনা যাচ্ছে (যদিও এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা)। সুব্রত বিশ্বাস আবার পুরসভার দৈনিক মজুরির কর্মী। ওই অডিয়ো সামনে আসায় শুধু দলের নেতৃত্বই নয়, কল্যাণীর নাগরিক সমাজেও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে তৃণমূলের পুরপ্রধান ও আইএনটিটিইউসির শহর সভাপতির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে আগে থেকেই। সেই সঙ্গে শাসক দলের নেতা হওয়ায় কাজে না-এসে মাসের শেষে বেতন নেওয়ার অভিযোগ আছে সুব্রতের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন পুরপ্রধান। শুধু তাই নয়, শাসক দলের কর্মী সংগঠনের নেতা হওয়ায় পুরসভায় তাঁর কিছুটা প্রভাবও আছে। এরই মধ্যে বুধবার পুরপ্রধান সুব্রতকে তাঁর ঘরে ডেকে পাঠান। অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, পুরপ্রধান সুব্রতকে জানান যে, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তাঁকে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সুব্রত বিশ্বাস সেই নির্দেশ লিখিত আকার দেখতে চান। আর তার পরেই দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের গলা শোনা যায়। তিনি পুরপ্রধানের হয়ে কথা বলতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সুব্রতের সঙ্গে তাঁরও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে শোনা যায়। সেই সময়ই অডিয়োতে ‘আপত্তিকর’ শব্দ ব্যবহার হতে শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুরপ্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী। আর বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘এই ধরনের কোনও বিষয় তাঁর জানা নেই। এই রকম কোনও ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটেনি।’’
যদিও সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আপনারা যে অডিয়োটা শুনেছেন সেখানে আমাকে গালিগালাজ করা হয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে বা যাঁরা আমার উপর টোটো, অটো এবং ম্যাজিক গাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছে তাঁরা আমার নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে সংগঠন করতে দিতে চাইছে না।’’
এই বিষয়ে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অডিয়োর সত্যতা যাচাই করার পরে দু’জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।’’